বর্ষপূর্তির দিনেই অর্থ মন্ত্রক জানাল জুনে জিএসটি আদায় হয়েছে ৯৫,৬১০ কোটি টাকা।
আর এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কটাক্ষ, এর থেকে এখনও রিফান্ড বাদ পড়েনি। তা হলে আয় আরও কমার কথা।
এপ্রিলে জিএসটি আদায় ১.০৩ লক্ষ কোটিতে পৌঁছনোয় মন্ত্রীদের অনেকেই বলেছিলেন, এখন থেকে মাসে তা ১ লক্ষ কোটির ঘরেই থাকবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত ছিল, এপ্রিলের হিসেব হয় মার্চের লেনদেনের ভিত্তিতে। তখন অনেকে বছরের বকেয়া করও মেটান। তাই এই ধারা বজায় থাকবে, তা ভাবা ঠিক নয়। বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে অর্থ সচিব হাসমুখ আঢিয়ারও দাবি, মাসে ১ লক্ষ কোটি আদায় এখনও নিয়মিত ব্যাপার নয়।
তবে ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের যুক্তি, ‘‘এপ্রিল, মে, জুনে কারখানার উৎপাদন ধীরে চলে। ফলে কর আদায়ও কম হয়। কিন্তু গত তিন মাসেই এই অঙ্ক দাঁড়ালে পরে তা ১ লক্ষ কোটি ছোঁবেই। আশা, সারা বছরে আদায় ১৩ লক্ষ কোটি হবে।’’
যদিও চিদম্বরমের কটাক্ষ, মোদী সরকার নোটবন্দির মতো খারাপ কাজকে বড় করে কার্যকর করেছে। অথচ জিএসটি খারাপ ভাবে কার্যকর করেছে। কটাক্ষকে উড়িয়ে গয়াল অবশ্য বলেন, ইউপিএ সরকার জিএসটি চালু করতে পারেনি, তাই এ কথা বলছে। চিদম্বরমের পাল্টা তোপ, বিজেপির বাধাতেই তা চালু হয়নি।
রবিবার অরুণ জেটলির দাবি, জিএসটির জন্য প্রত্যক্ষ কর আদায়ও ১৮% বেড়েছে। অনেকের ব্যবসার আসল অঙ্ক জানাতে হওয়ায়, আসল আয় সামনে এসেছে। ফলে আগাম আয়কর জমা বেড়েছে ৪৪%, কর্পোরেট কর ১৭%। তাঁর দাবি, প্রথম ন’মাসেই ৮.২ লক্ষ কোটি জিএসটি আদায় হয়েছে। অর্থবর্ষের পুরোটা পেলে হত ১১ লক্ষ কোটি। যা ১১.৯%
বেশি। উল্লেখ্য, কলকাতাতে গত অর্থবর্ষে জিএসটি ও কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক আদায় হয়েছে ২৬,৫৫০ কোটির বেশি। বেড়েছে করদাতার সংখ্যাও।