দেশের একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রক, দফতর ও সংস্থা (যেমন প্রতিরক্ষা, ইএসআই ইত্যাদি) তাদের হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য প্রতি বছরই এ রাজ্যের সংস্থা বেঙ্গল কেমিক্যালসের (বিসিপিএল) থেকে ক্লোরোকুইন বা অ্যাজ়িথ্রোমাইসিন কেনে। সংস্থা সূত্রের খবর, সেই সব রাজ্য ও কেন্দ্র এ বার ওই দু’টি ওযুধের বরাত বাড়ানোর কথা জানিয়েছে তাদের। বিসিপিএলের ওষুধ সরাসরি ওষুধের দোকানে মেলে না। বিক্রি হয় সরকারি বরাতেই। তবে সংস্থা আগে জানিয়েছিল, নিয়মের জটিলতায় এ রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে তারা ওষুধ বিক্রি করতে পারে-না। সংস্থা সূত্রের খবর, তাদের মানিকতলার কারখানায় অন্য ওষুধের সঙ্গে ওই দু’টি ওষুধও তৈরি হয়। মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট ভারত থেকে যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন, লাইসেন্স না-থাকায় সেটি অবশ্য বিসিপিএল তৈরি করে না।
সংস্থা সূত্রের খবর, ২০১৯-২০ সালে বিসিপিএল ২-৩ লক্ষ ক্লোরোকুইন ট্যাবলেটের বরাত পায়। অ্যাজ়িথ্রোমাইসিন বিক্রি হয় প্রায় ৪০ হাজার বাক্স। তবে এ বারে এখনই বরাত আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু করোনার হানায় ওষুধের কাঁচামালের জোগানে সমস্যা রয়েছে। মজুত কাঁচামাল দিয়ে কাজ চলছে। পাশাপাশি বিকল্প পথেও কাঁচামালের জোগানের চেষ্টা চলছে।