ভোজ্যতেল শিল্পের সংগঠনগুলিকে কেন্দ্রের নির্দেশ, সূর্যমুখী, সয়াবিন-সহ অধিকাংশ তেলের সর্বোচ্চ খুচরো দাম অবিলম্বে লিটারে ৮-১২টাকা কমাতে হবে। —প্রতীকী চিত্র।
গত মাসের গোড়ায় কেন্দ্র বলেছিল, বিশ্ব বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমার সুবিধা যেন সাধারণ ক্রেতার দরজায় পৌঁছে দেয় সংস্থাগুলি। শুক্রবার জারি হল দাম আরও কমানোর নির্দেশ। যারা আগের নির্দেশ মানেনি, তাদেরকে কার্যত সতর্কও করা হয়েছে এ দিন।
বিশ্ব বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমায় নামছে পণ্যটি আমদানির খরচ। তার উপর ছাঁটা হয়েছে উৎপাদন শুল্ক। ভোজ্যতেল শিল্পের সংগঠনগুলিকে কেন্দ্রের নির্দেশ, সূর্যমুখী, সয়াবিন-সহ অধিকাংশ তেলের সর্বোচ্চ খুচরো দাম (এমআরপি) অবিলম্বে লিটারে ৮-১২টাকা কমাতে হবে। উৎপাদক ও বিক্রেতাদের দুই সংগঠন ইন্ডিয়ান ভেজিটেবল অয়েল প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন এবং সলভেন্ট এক্সট্র্যাকশন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে খাদ্যসচিব সঞ্জীব চোপরার বৈঠকের পরে খাদ্য মন্ত্রক এটাও বলেছে, কিছু সংস্থা এখনও দাম কমায়নি। তাদের এমআরপি অন্যান্য ব্র্যান্ডের থেকে বেশি। ফলে অবিলম্বে সেই পদক্ষেপ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তাদেরও।
মন্ত্রক বলেছে, তেল শোধনকারী ও উৎপাদনকারীরা যে দামে বণ্টনকারী বা ডিস্ট্রিবিউটরদের পণ্য বেচে, তা-ও দ্রুত কমানো প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে বিক্রির জন্য দাম কমলেই, শিল্পকে সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে ক্রেতাকে। কেন্দ্র দাম সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ নেবে।
কাঁচামালের দাম ও পরিবহণ খরচ বাড়ায় ২০২১-২২ সালে বিশ্ব ও দেশীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দর মাথা তুলেছিল। তা আরও চড়ে ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে। মন্ত্রকের দাবি, বিশ্ব বাজারে দাম কমছে বলেই দেশে সেই অনুযায়ী দামে সুরাহা দেওয়ার বিষয়টি দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। দেরি করা চলবে না। ভারতীয় ক্রেতারা আশা করতে পারেন, এই খাতে এ বার খরচ কমবে। রান্নার তেলের পড়তি দাম মূল্যবৃদ্ধিকেও মাথা নামাতে সাহায্য করবে।
তথ্য বলছে গত দু’মাসে বিশ্বে দাম কমেছে টনে ১৫০-২০০ ডলার। শিল্পের দাবি, দেরি হলেও দ্রুত দেশে আরও সস্তা হবে রান্নার তেল।