নরেন্দ্র মোদী এবং নির্মলা সীতারামন।
গত সপ্তাহেই সামনে এসেছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) কর্মী নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়ে হিমালয়ের এক সাধুর প্রভাবের কথা। তার পরে বৃহস্পতিবার প্রাক্তন এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণ এবং গ্রুপ অপারেটিং অফিসার ও এমডি-র উপদেষ্টা আনন্দ সুব্রহ্মণ্যনের বাড়ি-অফিসে তল্লাশি চালাল আয়কর দফতর। যা নিয়ে আজ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে নিশানা করেছে বিরোধী কংগ্রেস। তাদের প্রশ্ন, ২০১৬ সাল থেকে তাঁরা কী করছিলেন। সঙ্গে এবিজি শিপইয়ার্ডের প্রায় ২২,৮৪৮ কোটি টাকার ঋণ-কাণ্ড নিয়েও মোদী সরকারকে বিঁধেছে তারা। দাবি, এ ভাবে ‘লুঠ করে পালানো’ ও ‘ইজ় অব কমিটিং ফ্রড’ কর্মসূচি চালাচ্ছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, আজই এই কেলেঙ্কারিতে সংস্থার প্রাক্তন সিএমডি ঋষি আরওয়ালকে জেরা করেছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে মিলে সংস্থার গোপন তথ্য জেনে মুনাফা করা, আর্থিক অনিয়ম এবং কর ফাঁকির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ও প্রমাণ সংগ্রহের লক্ষ্যে এ দিন ভোরে মুম্বই ও চেন্নাইয়ে চিত্রা ও আনন্দের বাড়ি-অফিসে হানা দেন দফতরের কর্তারা। পাশাপাশি, আগরওয়ালের ভারত ছাড়া আটকাতে লুক-আউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। কংগ্রেসের গৌরব বল্লভের প্রশ্ন, ২০১৮ সালে ঋণ উদ্ধার সংক্রান্ত ট্রাইবুনালের নির্দেশের পরেও কেন, দরকারে সংস্থার সম্পত্তি বেচে ১৩,৯৭৫ কোটি টাকা বকেয়া উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়নি। মোদী ও নির্মলা কেন নীরব রয়েছেন?
আজ কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূরজেওয়ালা টুইটে বলেন, ‘‘১৫ তারিখেই সাধুর এনএসই চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। অথচ মোদী সরকার, অর্থ মন্ত্রক, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক, গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক অপরাধ তদন্তকারী এসএফআইও, ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজ্যান্স ইউনিট, সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সকলেই এ নিয়ে চুপ।’’ তাঁর তোপ, ‘‘আয়কর দফতর দেরিতে জেগেছে।’’
সঙ্গে রণদীপের তোপ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী কি জানাবেন সেই ‘সাধু’ কোথায়? কেন (তাঁর কম্পিউটারের) আইপি অ্যাড্রেস (যা দেখে বোঝা যায় কোন কম্পিউটারে কাজ হয়েছে) বার
করা যাবে না? কী ভাবে ‘গোপন তথ্য জেনে মুনাফার’ সম্ভাবনা বাতিল করবেন? ২০১৬ সাল থেকে সিবিআই-প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রী কী করছিলেন?’’