ফাইল চিত্র।
করোনার উপর্যুপরি দু’টি ধাক্কা সামলানোর পরে দেশ জুড়ে বাড়ছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এর মধ্যেই সর্বকালীন নজির গড়েছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। আঙুল উঠেছে তেলে মোদী সরকারের চাপানো বিপুল উৎপাদন শুল্কের দিকে। তার উপরে ফের ২৫ টাকা বেড়ে কলকাতায় ৮৮৬ টাকা হয়েছে গৃহস্থের রান্নার গ্যাস (এলপিজি)। ফলে তেলের পরে গ্যাসের দাম নিয়েও বিরোধীদের সমালোচনায় বিদ্ধ হল কেন্দ্র। তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। দামে রাশ টানতে না-পারলে নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগও দাবি করল কংগ্রেস। তবে তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর পাল্টা অভিযোগ, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির দায় কংগ্রেসেরই। বরং তাঁদের সরকার বিষয়টি নিয়ে ‘সংবেদনশীল’ ও সমস্যা মেটাতে সম্ভাব্য সব কিছু করছে।
প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, ‘‘উজ্জ্বলার স্বপ্ন দেখানোর পরে প্রতি মাসে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে বিজেপি সরকারের ‘তোলাবাজি প্রকল্প’ ফুলে-ফেঁপে উঠছে।’’ রাহুলের বক্তব্য, ‘‘জুমলাদের সত্য হাজির মানুষের দ্বারে, ‘উল্টো বিকাশ’ হয়েছে সাত বছরে।’’ কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেত বলেন, ‘‘আশা করব, অনুভূতিহীন ও ক্ষমতালোভী সরকার এ দিকে চোখ রেখে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমাবে।’’ তাঁর দাবি, বিশ্ব বাজারে সৌদি অ্যারামকোর দরের ভিত্তিতে ভারতে এলপিজি-র দাম স্থির হয়। সেই অনুযায়ী তা হওয়া উচিত ৬০০ টাকা।
তবে এলপিজি-সহ পেট্রোপণ্যের চড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ দিন দিল্লিতে পুরীর দাবি, পূর্বতন কংগ্রেস সরকার তেলের দর থেকে নিয়ন্ত্রণ তোলায় বিশ্ব বাজারের প্রভাব পড়ে দেশে। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র তেলে উৎপাদন শুল্ক চাপায়। কিন্তু ভ্যাট বসায় রাজ্যগুলিও। আমরা শুল্কের টাকা গরিব কল্যাণ যোজনা, পিএম আবাস যোজনা, উজ্জ্বলার মতো প্রকল্পে খরচ করি।’’ মূলত কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলির উদ্দেশে ভ্যাট কমানোর কথাও বলেছেন তিনি। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, রাজ্যের খরচ জোগাতেও কর বাবদ আয় জরুরি নয় কি? তা ছাড়া, আয় বাড়াতে কেন্দ্রকেই বা কেন শুধু তেলের শুল্কে ভরসা করতে হচ্ছে?
পুরীও অর্থমন্ত্রীর মতো ইউপিএ আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির জন্য ছাড়া ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকার বন্ডকে দুষেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘কংগ্রেস রাজকোষ শূন্য করেছে। এই বছরে এ জন্য ২০,০০০ কোটি মেটাতে হবে।’’ কংগ্রেস অভিযোগ উড়িয়েছে আগেই।