Business News

ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্য নিয়ে তোপ বিরোধীদের

প্রায় এক বছর ধরে ধাক্কা খাচ্ছে বৃদ্ধির হার। বাজারে চাহিদা নেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

মোদী সরকারের বন্ধু শিল্পপতিদের সুবিধা পাইয়ে দিতে প্রায় ৮ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ ব্যাঙ্কের হিসেবের খাতা থেকে মোছা হয়েছে বলে তোপ দাগল বিরোধীরা। কাদের ঋণ মোছা হয়েছে, সেই নাম প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে তাদের দাবি, ঋণ মোছার পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে কমিটি তৈরি করা হোক। কর্পোরেট সংস্থার এত টাকার ঋণ মোছা হলেও, সরকার কেন চাষিদের ঋণ মকুব করতে রাজি নয়, সেই প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম।

Advertisement

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্য নিয়ে ক্রেডিট স্যুসের রিপোর্ট তুলে ধরে শনিবার টুইট করেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। তাঁর তোপ, আর্থিক পরিষেবা সংস্থার রিপোর্ট বলছে মোট অনুৎপাদক সম্পদ পৌঁছেছে ৯,১০,৮০০ কোটি টাকায়। মোছা হয়েছে বড় অঙ্কের প্রায় ৭,৭৭,৮০০ কোটির ঋণ। তাঁর প্রশ্ন, সরকার যদি পাঁচ বছরে বন্ধু শিল্পপতিদের সুবিধা দিতে এত ঋণ মুছতে পারে, তা হলে চাষিদের ধার মকুব করা হচ্ছে না কেন? ব্যাঙ্কে আমজনতার টাকা সুরক্ষিত রাখার দায় কার? আর সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, চাষিদের ঋণ মোছা হলে তাঁদের আত্মহত্যা কমত ও চাষে সুরাহা হত। কিন্তু তা করেনি মোদী সরকার।

প্রায় এক বছর ধরে ধাক্কা খাচ্ছে বৃদ্ধির হার। বাজারে চাহিদা নেই। লগ্নি থেকে হাত গুটিয়ে রয়েছে সংস্থাগুলি। এই অবস্থায় এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাটের দাবি, একে ঋণের চাহিদা নেই, অন্য দিকে ব্যাঙ্কও ধার দিতে সে ভাবে রাজি নয়। তার উপরে বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে অনুৎপাদক সম্পদ বাড়ছে। এই অবস্থা অর্থনীতির গতি কমারই ছবি তুলে ধরে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যের নীতি মেনেই নয়া বেতন বিদ্যুতে

তোপ
• পাঁচ বছরে প্রায় ৭.৭৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ ব্যাঙ্কের হিসেবের খাতা থেকে মোছা হয়েছে।
• অনেক রিপোর্টই বলছে, ব্যাঙ্কিং শিল্পে অনুৎপাদক সম্পদ আবার বাড়ছে। ২০১৭ সালে তা ছিল ১২%। এখন প্রায় ১৬%।
• প্রায় ১৬.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা অনাদায়ি ঋণে পরিণত হয়েছে।
• বেসরকারি ব্যাঙ্কের ঋণ বৃদ্ধির হার নেমেছে ১২ শতাংশে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ৪%।
• চাহিদার অভাব ও ঋণ দেওয়ার ইচ্ছা না-থাকাই এই অবস্থার জন্য দায়ী।

দাবি
• যে সব ব্যক্তির ঋণ হিসেবের খাতা থেকে মোছা হয়েছে, তাঁদের নাম প্রকাশ করুক কেন্দ্র।
• ঋণ মকুবের পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে তৈরি হোক উচ্চপর্যায়ের কমিটি।
• ব্যাঙ্কিং শিল্পের আর্থিক অবস্থা ও সম্ভাব্যতাও খতিয়ে দেখুক কমিটি।

একই সঙ্গে শ্রীনাটে বলেন, যখনই ব্যাঙ্কিং শিল্পের অবস্থা নিয়ে মোদী সরকারকে প্রশ্ন করা হয়, তখনই তারা আগের জমানাকে দোষ দেয়। কিন্তু আসল সত্যি হল, সরকার অনুৎপাদক সম্পদ কমার কথা বললেও, ব্যাঙ্কের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। রাত পর্যন্ত এই বিষয়ে সরকার বা বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement