তেলে রুপোলি রেখা, গলায় ‘অচ্ছে দিন’

ভোটের আগে মোদীকে স্বস্তি দিল ওপেক

বিশ্ব বাজারে মোট তেলের জোগানের মাত্র ১%। কিন্তু তাতেই আশার আলো দেখছে কেন্দ্র। কারণ আগের তুলনায় কিছুটা কমলেও দেশে পেট্রল, ডিজেলের চড়া দর এখনও গলার কাঁটা তাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৮ ০২:৪৭
Share:

দিনে মাত্র ১০ লক্ষ ব্যারেল। এইটুকু উৎপাদন বাড়লে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর আদৌ কতটা কমবে, তা নিশ্চিত নয় এখনই। কিন্তু, এত দিন উৎপাদন কম রেখে দাম চড়া রাখার পক্ষে সওয়াল করা সৌদি আরবও ওপেকের মঞ্চে যে ভাবে তেল তোলা বাড়ানোর কথা বলছে, তাতে আশায় কেন্দ্র। যে তেলের চড়া দাম নিয়ে সরকার গলদঘর্ম, মানুষ ক্ষুব্ধ ও বিরোধীরা খড়্গহস্ত, তাতে কিছুটা স্বস্তি মিললে তা ভোট বছরে বড় আশীর্বাদ হতে পারে মোদী সরকারের কাছে।

Advertisement

শুক্রবার ভিয়েনার বৈঠকে তেল উৎপাদন বাড়াতে রাজি হয়েছে বিশ্বের তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক। সঙ্গী হয়েছে রাশিয়াও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, জুলাই থেকে দিনে প্রায় ১০ লক্ষ ব্যারেল বাড়তি তেল উৎপাদন করবে তারা। পরিমাণে তা সামান্য। বিশ্ব বাজারে মোট তেলের জোগানের মাত্র ১%। কিন্তু তাতেই আশার আলো দেখছে কেন্দ্র। কারণ আগের তুলনায় কিছুটা কমলেও দেশে পেট্রল, ডিজেলের চড়া দর এখনও গলার কাঁটা তাদের।

ওপেকের সিদ্ধান্তে নর্থ ও সাউথ ব্লকের খুশি হওয়ার কারণ একাধিক। পেট্রল, ডিজেলের দাম আগের থেকে কিছুটা কমলেও, এখনও যথেষ্ট উঁচুতে। ভোটের আগে তা আরও বাড়লে কঠিন হবে আমজনতার ক্ষোভ সামাল দেওয়া। আরও বেশি আক্রমণ শানাবেন বিরোধীরা। আরও জোরালো দাবি উঠবে উৎপাদন শুল্ক ছাঁটার। অথচ শেষ পথে হাঁটলে রাজকোষ ঘাটতি মাত্রাছাড়া হওয়ার আশঙ্কা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চিন ও ভারত এ বার বাজেটের হিসেব কষেছে তেলে মোটা শুল্ক ঘরে তোলার আশায় ভর করে। তাই ওপেকের সিদ্ধান্ত চিনের মতো ভারতের কাছেও স্বস্তির।

Advertisement

সুখবর

• জুলাইয়ে তেল উৎপাদন বাড়াবে ওপেক ও রাশিয়া।

• দিনে বাড়তি উৎপাদন প্রায় ১০ লক্ষ ব্যারেলের।

আশায় ভারত

বিশ্ব বাজারে জোগান বাড়ায় কিছুটা হলেও কমতে পারে অশোধিত তেলের দাম।

• সে ক্ষেত্রে খরচ কমতে পারে তেল আমদানির। সামান্য স্বস্তি মিলতে পারে পেট্রল, ডিজেলের দরে।

• কমতে পারে আমজনতার ক্ষোভ। চাপ কমতে পারে উৎপাদন শুল্ক কমানোরও।

আবার এতে জয় কূটনীতিরও। ভারত, আমেরিকা, চিন— তিন দেশই চাইছিল বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমাতে জোগান বাড়ানো হোক। সেই চাপ কিছুটা হলেও কাজে দিয়েছে। তার উপরে হালে বাণিজ্য যুদ্ধ আর তেলের দাম নিয়ে দর কষাকষিতে কিছুটা কাছাকাছি এসেছে দিল্লি ও বেজিং। সে দিক থেকেও ওপেকের সিদ্ধান্ত সাউথ ব্লকের কাছে অর্থবহ।

হালে ওপেকে সৌদি আরব তেলের জোগান বাড়াতে রাজি হলেও বেঁকে বসেছিল ইরান। যুক্তি ছিল, ইরান ও ভেনেজুয়েলার উপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তই আসলে তেলের দাম বাড়ার কারণ। শেষে অবশ্য ইরানকে রাজি করিয়েছে সৌদি আরব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement