প্রতীকী ছবি।
ঋণদাতাদের বকেয়ার মীমাংসায় গতি আনতে এবং রুগ্ণ সংস্থাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে পাঁচ বছর আগে কার্যকর হয়েছিল দেউলিয়া বিধি। কিন্তু সেই বিধিকে কাজে লাগিয়ে দেউলিয়া সংস্থাগুলির বকেয়ার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ উদ্ধার করা গিয়েছে বলে এক সমীক্ষায় জানিয়েছে মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল। তাদের রিপোর্টে উঠে এসেছে, বহু ক্ষেত্রেই সংস্থা পুনর্গঠনের বদলে গোটানোর নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছে দেউলিয়া বিধি আদালত। গোটা প্রক্রিয়ায় সময়ও লাগছে অনেক বেশি।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিধি অনুযায়ী মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ৩৩০ দিনের মধ্যে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গড়ে সময় লাগছে ৪১৯ দিন। এই বিধিকে কাজে লাগিয়ে এখনও পর্যন্ত ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া আদায় করা গিয়েছে। যা প্রত্যাশার তুলনায় কম। ক্রিসিলের ডিরেক্টর নীতীশ জৈন বলেন, ‘‘গত ৩০ জুন পর্যন্ত জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনাল (এনসিএলটি) ৪৫৪১টি মামলা গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংস্থা গোটানোর। এই সমস্ত ক্ষেত্রে আদায় হয়েছে বকেয়ার ৫%।’’
তবে দেউলিয়া বিধিকে শুধু মাত্র বকেয়া আদায়ের ব্যবস্থা হিসাবে দেখলে ভুল হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দেউলিয়া আইন বিশেষজ্ঞ উজ্জয়িনী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই বিধির উদ্দেশ্য হল সংস্থাগুলির বকেয়া ঋণের মীমাংসা করা। বকেয়া আদায় করা নয়। এই প্রক্রিয়ায় বকেয়া আদায় হলে সেটা বাড়তি পাওনা।’’