—প্রতীকী চিত্র।
নিয়োগকারী ছাড়া অন্য কোনও সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মীকে শাস্তি দিতে পারে না বলে জানিয়ে দিল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (ক্যাট)। বিএসএনএলের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মীর আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ। তাঁর বকেয়া বেতন মেটানোর ও পুরো পেনশন চালু করারও নির্দেশ দিয়েছেন ক্যাটের বিচারক বিদিশা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশাসনিক সদস্য নন্দিতা চট্টোপাধ্যায়।
তপনকুমার দাস নামে ওই আবেদনকারী ক্যালকাটা টেলিফোনসে সিনিয়র অ্যাকাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর আইনজীবী কল্যাণ সরকার জানান, ১৯৯৯-২০০১ সালে যাচাই না-করে পণ্যের বিল মেটানোর অভিযোগ ওঠে তপনবাবুর বিরুদ্ধে। ২০১০ সালের ১৫ মে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ চার্জশিট পেশ করেন এবং ২০১৩ সালের ১৮ মে তাঁর বেতন কমিয়ে দেন। পরের বছর এপ্রিলে অবসর নেন ওই কর্মী।
২০১৬ সালে ক্যাটে মামলা করেন ওই কর্মী। কল্যাণবাবুর বক্তব্য, অভিযোগ ওঠার সময় তপনবাবু টেলিকম দফতরে (ডট) কাজ করতেন। আর বিএসএনএল কাজ শুরু করে আরও পরে, ২০০৬ সালে। বিএসএনএলের আইনজীবীর সওয়াল, ‘সেন্ট্রাল ডিপার্টমেন্টাল অ্যাপিলেট রুল’ মোতাবেক চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে তপনবাবুর পক্ষে রায় দিয়েছেন ক্যাটের বিচারকেরা।