প্রতীকী ছবি।
ডলারের দর এখন নাগাড়ে ৭০ টাকার উপরে থাকলে, দেশে পেট্রল, ডিজেলের দামও লিটারে ৫০-৬০ পয়সা বাড়ার সম্ভাবনা। একই সঙ্গে, দুর্বল টাকার খেসারত গুনে শুধু অশোধিত তেল আমদানির খরচই বাড়তে পারে ২,৬০০ কোটি ডলার (১ লক্ষ ৮২ হাজার কোটি টাকা)। যা চিন্তার ভাঁজ ফেলছে মোদী সরকারের কপালে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে অশোধিত তেল আমদানিতে খরচ হয়েছিল ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ সালে তা বেড়ে ৭ লক্ষ ২ হাজার কোটিতে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু এই হিসেব করা হয়েছিল বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের গড় দাম ব্যারেলে ৬৫ ডলার এবং মার্কিন মুদ্রাটির গড় দাম ৬৫ টাকা মতো থাকবে ধরে নিয়ে। সেখানে ১৪ অগস্ট পর্যন্তই ডলারের গড় বিনিময় মূল্য ছিল ৬৭.৬ টাকা। তার উপর এখন তা ৭০ টাকার বেশি থাকলে, তেল আমদানির খরচ বিপুল বাড়বে বলে তাঁর আশঙ্কা।
চার রাজ্যে বিধানসভা ভোট এবং পরের বছরের লোকসভা নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, তখন পেট্রল-ডিজেলের দর বাড়তে থাকা অস্বস্তির কারণ হবে কেন্দ্রের। কারণ, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে আমজনতা ক্ষুব্ধ। আক্রমণ শানাচ্ছেন বিরোধীরা। কিন্তু ডলার আপাতত ৭০ টাকার উপরেই থাকলে, দেশে জ্বালানির দর লিটারে অন্তত ৫০-৬০ পয়সা বাড়বে বলে ওই আধিকারিকের অভিমত।
শুধু তা-ই নয়। তেল আমদানির খরচ এতখানি বেড়ে গেলে, আরও চওড়া হবে বাণিজ্য ঘাটতি। সহজ হবে না রাজকোষ ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখাও। মূল্যায়ন সংস্থাগুলির কাছে রেটিং ধরে রাখতে যা গুরুত্বপূর্ণ।