মেলা ঘুরে দেখছেন তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত।
দূষণ ও তেলের আমদানি খরচ কমাতে দীর্ঘ দিন ধরেই দেশে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। যার অন্যতম ইথানল মিশ্রিত পেট্রল। আজ সর্বভারতীয় গাড়ি মেলায় (অটো এক্সপো) তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর দাবি, পেট্রলের সঙ্গে ১০% ইথানল মেশানোর (ই-১০ প্রকল্প) লক্ষ্য অনেক আগে ছুঁয়ে ফেলেছে ভারত। তেল আমদানি খাতে ৪১,০০০ কোটি টাকা সাশ্রয়ও হয়েছে। দেশের বেশিরভাগ জায়গায় পর্যায়ক্রমে এখন ১০% মেশানো হচ্ছে। পরের ধাপে ইথানলের ভাগ ২০% করে ই-২০ প্রকল্পও নির্ধারিত সময়সীমার আগে চালু করা যাবে। তিনি জানান, এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা ই-২০ জ্বালানির পরীক্ষামূলক (পাইলট) ব্যবহার। তবে কিছু পাম্পে মিলবে তারও আগে। এই প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এর পরে দেশ জুড়ে ধাপে ধাপে তা চালু হবে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের অবশ্যঅভিযোগ, সরকার ১০% ইথানল মিশ্রিত পেট্রল চালুর দাবি করলেও, ছোট শহর ও প্রান্তিক এলাকাগুলিতে এখনও ওই জ্বালানি ঠিক মতো মেলে না। তবে পুরী এবং গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের প্রেসিডেন্ট বিনোদ আগরওয়ালের দাবি, ই-২০ মাপকাঠি চালুর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০৩০ সাল। ই-১০ সফল হওয়ার পরে লক্ষ্য পাঁচ বছর এগিয়ে আনা হয়েছে। মন্ত্রীর বার্তা, ইথানলের ভাগ বাড়াতে সরকার যেমন পদক্ষেপ করছে, তেমনই পুরোদস্তুর এমন গাড়ি আনতে আরও কোমর বেঁধে ঝাঁপাক গাড়ি সংস্থাগুলি।
শিল্পের দাবি, ই-২০ মাপকাঠিরজন্য এখনই গাড়ির ইঞ্জিন বদলের দরকার নেই। পেট্রলে ইথানলের ভাগ বাড়লে তার উপযুক্ত ইঞ্জিনের গাড়ি তৈরি করতে হবে তাদের। যাকে ‘ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন’ বলা হয়।
এ দিন মেলার ইথানল প্যাভিলিয়নটি উদ্বোধনের ফাঁকে পুরীকে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের কর্তারা জানান, তাঁরা ইতিমধ্যেই ১২% ইথানল মেশানোর প্রক্রিয়া চালু করেছেন। মন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডিয়ান অয়েলের কর্তাদের ডেকে জানিয়ে দেন সে কথা। পরে মেলার সভাকক্ষে জৈব জ্বালানির ব্যবহার সংক্রান্ত এক আলোচনায় কোনও সংস্থার নাম না নিলেও, ১২% ইথানল মেশানোর প্রসঙ্গ তুলে তেল সংস্থাগুলির মধ্যে এর ভাগ বাড়ানো নিয়ে প্রতিযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।