বৈদ্যুতিকে নজর, জোর তেল শোধনে

নীতি আয়োগ ২০৩০ সালের পরে দেশের রাস্তায় শুধুই বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর পরিকল্পনার কথা বলেছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯ ০৪:১৩
Share:

প্রথম দফার মতোই দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদী সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ির উপরে জোর দিয়েছে। তার চাহিদা বাড়াতে বাজেটে নানা সুবিধার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও অদূর ভবিষ্যতে দেশে পেট্রল-ডিজেলের চাহিদা এখনকার চেয়ে বাড়বে এবং তা মেটাতে দেশের তেল শোধনাগারের উৎপাদন ক্ষমতা আরও ৮০% বাড়াতে হবে বলে জানালেন তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

Advertisement

নীতি আয়োগ ২০৩০ সালের পরে দেশের রাস্তায় শুধুই বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর পরিকল্পনার কথা বলেছিল। নতুন সরকার গঠনের পরে তারা বলে, ২০২৩ ও ২০২৫ সালের পরে যথাক্রমে তিন ও দু’চাকার (১৫০ সিসি পর্যন্ত) শুধুই বৈদ্যুতিক গাড়ি চলবে। যা ফের বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।

বৈদ্যুতিক গাড়িকে এই অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও মন্ত্রীর বক্তব্য, তার পাশাপাশি পরিবহণের বাড়তি চাহিদা মেটাতে বিএস-৬ মাপকাঠির পেট্রল-ডিজেল, জৈব জ্বালানি, প্রাকৃতিক গ্যাস সবেরই প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, ‘‘বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও তাকে জনপ্রিয় করার সঙ্গেই অন্যান্য পরিবহণের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।’’

Advertisement

এখন দেশে শোধনাগারগুলির উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ২৫ কোটি টন। প্রধান বলেন, ‘‘সমীক্ষা বলছে, আগ্রাসী ভাবে রাস্তায় বৈদ্যুতিক গাড়ি আনা হলেও ২০৪০ সালে তা ৪৫ কোটি টন হতে হবে। সে কথা মাথায় রেখে না এগোলে, তখন অশোধিত তেলের সঙ্গে শোধনাগার থেকেও পণ্য আমদানি করতে হবে।’’ ২০৩৪ সাল পর্যন্ত ভারতের শক্তি ক্ষেত্রের চাহিদা ৪.২% হারে বাড়বে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement