—প্রতীকী চিত্র।
রাশিয়ার উপরে আমেরিকা নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় প্রমাদ গুনছে ভারত। সূত্রের খবর, এর ফলে মস্কো থেকে এ দেশে তেল আমদানি ধাক্কা খেতে পারে। কারণ, তা বয়ে আনতে জাহাজ পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। তার জেরে বাড়তে পারে পরিবহণ খরচ। দামে ছাড়ও কমাতে পারে রাশিয়ার সংস্থাগুলি। সব মিলিয়ে কম দামে তেল কেনার যে সুবিধা পাচ্ছিল ভারত, তা উধাও হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তার উপর বিশ্ব বাজারে এখন ফের ঊর্ধ্বমুখী অশোধিত তেলের দাম। এক ব্যারেল ৮২ ডলার পেরিয়েছে।
২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরের মাসে অশোধিত তেল প্রায় ১৪০ ডলারে উঠেছিল। আগ্রাসনের বিরোধিতায় তখন মস্কোর উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপায় পশ্চিমী দুনিয়া। তার পরে মূলত যুদ্ধের অর্থ জোগাড়ে কম দামে তেল বিক্রি শুরু করে রাশিয়া। সেই সুযোগ নেয় ভারত। কিছু পরিণত হয় মস্কোর তেলের সর্বাধিক আমদানিকারীতে। আগে রাশিয়ার নামমাত্র তেল ভারতে আসত। ২০২২-এ দিনে গড়ে ৬.৫২ লক্ষ এসেছে। গত বছর ১৬.৬ লক্ষ।
সূত্রের খবর, ১ এপ্রিল থেকে দিনে ৪ লক্ষ ব্যারেল পর্যন্ত তেল কিনতে রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রসনেফ্টের সঙ্গে কথা বলছে ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম। কিন্তু ব্যারেলে ৩-৩.৫ ডলার ছাড়ের যে প্রস্তাব রসনেফ্ট দিচ্ছে, তা ইন্ডিয়ান অয়েলের বর্তমান চুক্তির (৮-৯ ডলার) থেকে কম। সূত্র জানাচ্ছে, একে তো ছাড় কম। তার উপরে দাম মেটানোয় সমস্যা হচ্ছে। ফলে দেশীয় সংস্থাগুলি বিশেষ মানের অশোধিত তেল কেনা বাতিল করেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ঘোরালো হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কোনও পক্ষ মুখ খোলেনি। তবে সরকারি সূত্রের খবর, নিষেধাজ্ঞাহীন তেলের দামের তুলনায় সস্তায় রাশিয়ার তেল পেলে, তবেই তা কিনবে নয়াদিল্লি।