হাতে হিসেব লেখা ঠেকাতে নতুন নির্দেশ

ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, রাজ্যে বিভাগীয় ডাকঘরের সংখ্যা ১,৭০০-র বেশি। সিবিএস চালুর সময়েই সেগুলিতে প্রিন্টার দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত 

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৯ ০৪:১৩
Share:

ডাকঘরে ‘কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেম’ (সিবিএস) চালু হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, কিছু বিভাগীয় ডাকঘরে বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পের পাসবইয়ে হিসেবের লেনদেন এখনও হাতেই লিখে দেওয়া হচ্ছে। সেই অভিযোগ মেনে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগও। তাদের নির্দেশ, যেখানে পাসবই প্রিন্ট করার জন্য বিশেষ প্রিন্টার দেওয়া হয়েছে, সেখানে হিসেব ছাপিয়ে দেওয়া বাধ্যতামূলক।

Advertisement

ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, রাজ্যে বিভাগীয় ডাকঘরের সংখ্যা ১,৭০০-র বেশি। সিবিএস চালুর সময়েই সেগুলিতে প্রিন্টার দেওয়া হয়েছে। বড় ডাকঘরে দেওয়া হয়েছে একাধিক প্রিন্টার। কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রিন্টারের ব্যবহার শুরু হয়নি। কোথাও আবার অনেক দিন ধরে তা অকেজো হয়ে রয়েছে। সেখানে পুরনো রীতি মেনে কর্মীরা পাসবইয়ে লেনদেনের হিসেব হাতেই লিখে দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে পরে অনেক সময়ে তা বুঝতে অসুবিধা হয়। প্রশ্ন ওঠে হিসেবের স্বচ্ছতা নিয়েও।

ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাসের দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, হুগলির বেগমপুর, নদিয়ার পলাশিপাড়া, উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের মতো বিভিন্ন জায়গায় প্রায়শই এই ধরনের সমস্যা হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারির দাবি তুলেছেন তিনি। ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কলের কর্তাদের অবশ্য দাবি, তাঁদের সদর দফতরে এ ধরনের অভিযোগ আসেনি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগ আলাদা ভাবে এ রাজ্যের কথা না বললেও, বিভাগের কর্তা দেবেন্দ্র শর্মা দেশের সব সার্কলের প্রধানকে এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন ‘অজুহাতে’ এখনও অনেক জায়গায় পাসবই হাতে লেখা চলছে। যা ঝুঁকিপূর্ণ ও আপত্তিজনক। তাই যেখানে প্রিন্টার দেওয়া হয়েছে, সেখানে সুরক্ষার জন্য কোনও ভাবেই আর হাতে লেখা যাবে না। পাসবই ছাপানোর প্রিন্টার অকেজো হয়ে গেলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে সাধারণ প্রিন্টারের সাহায্যে পাসবইয়ের শেষ পৃষ্ঠার স্টেটমেন্ট ছাপিয়ে দিতে হবে গ্রাহককে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement