প্রতীকী চিত্র।
দুশ্চিন্তার কালো মেঘ আরও জমাট অর্থনীতির আকাশে। এক দিকে তার ঘুরে দাঁড়ানোর লেশমাত্র ইঙ্গিত না-দিয়ে অক্টোবরে ফের কমল দেশের শিল্পোৎপাদন। এই নিয়ে টানা তিন মাস। অক্টোবরের সঙ্কোচন ৩.৮%। অন্য দিকে, আরও চড়া হল খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি। নভেম্বরে তার হার দাঁড়াল ৫.৫৪%। ৪০ মাসে সবচেয়ে বেশি। সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যার নিয়ন্ত্রণ থাকাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
আর তার পরেই উঠেছে প্রশ্ন, চাহিদা বাড়িয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ও বৃদ্ধির চাকায় গতি আনতে যেখানে ঋণের সুদ কম থাকা জরুরি, সেখানে মূল্যবৃদ্ধি এ ভাবে মাথা তুললে কী করে সেই পথে হাঁটবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? বিশেষত আগের সপ্তাহেই যেখানে সুদ (রেপো রেট বা যে হারে ব্যাঙ্কগুলিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ দেয়) অপরিবর্তিত রাখার অন্যতম কারণ হিসেবে মূল্যবৃদ্ধির কথা বলেছে তারা। বিভিন্ন আনাজ ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় সেই হারের যে বেলাগাম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তা-ও স্পষ্ট করেছে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সরকার যা-ই বলুক, বৃহস্পতিবার খোদ সরকারি পরিসংখ্যানে ফুটে উঠেছে অর্থনীতির আরও ঝিমিয়ে পড়ার ছবি। কেন্দ্রের একগুচ্ছ পদক্ষেপ সত্ত্বেও। শিল্পে কর্মকাণ্ড বাড়ছে না। উৎপাদন বাড়ার লক্ষণ নেই পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, এমনকি দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্যেও। যা স্পষ্ট করেছে লগ্নির অভাব। অনেকের প্রশ্ন, এই অবস্থায় কেনাকাটা বাড়াতে লোকের হাতে টাকা চাই। শিল্পের কম খরচে ঋণ চাই। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি চড়লে সুদ কমানোর পরিসর তৈরি হবে কী করে!