প্রতীকী ছবি।
রবিবার বেড়েছিল। সোমবার আরও ২৫ পয়সা বেড়ে কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে ডিজ়েল দাঁড়াল লিটারে ৯২.৪২ টাকা। এই নিয়ে তিন দিন জ্বালানিটির দাম বৃদ্ধি ফের কাঁপুনি ধরাচ্ছে দেশ জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে, অদূর ভবিষ্যতে তেল কি ফের নতুন নজির গড়তে চলেছে? শহরে পেট্রলে রেকর্ড দর ১০২.০৮ টাকা, ডিজ়েলে ৯৩.০২ টাকা। পেট্রলের দাম এই দফায় এখনও পর্যন্ত বাড়েনি। তা বর্তমানে লিটারে ১০১.৬২ টাকা। কিন্তু নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না অনেকেই। বিশেষত বিশ্ব বাজারে যেহেতু ফের অশোধিত তেল ব্যারেলে ৭৯ ডলার ছাড়িয়ে প্রায় তিন বছরে সর্বোচ্চ। সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্বেগ, পেট্রল-ডিজ়েলের দাম রেকর্ড উচ্চতা ছুঁয়েছিল তা আরও কম থাকাকালীন।
বার বার আর্জি জানালেও তেলে চড়া উৎপাদন শুল্ক কমায়নি মোদী সরকার। অথচ ডিজ়েলের দাম বাড়লে বাস-ট্যাক্সি চালানোর খরচ বাড়ে, ট্রাক-লরিতে করে পণ্য পরিবহণে বেশি টাকা লাগে। কারখানায় উৎপাদনেরও জ্বালানি এটি। ফলে বাজারে জিনিসের দাম বাড়ে, যাতায়াতের ভাড়া বাড়ে।
তেলের দাম কোথায় পৌঁছতে পারে, এ দিন এক সভায় এই প্রশ্নের মুখে পড়েন বিপিসিএলের সিএমডি অরুণ কুমার সিংহ। গোড়ায় রসিকতা করে বলেন, ‘‘তা জ্যোতিষশাস্ত্রই হয়তো বলতে পারবে।’’ পরে বলেন, অশোধিত তেলের পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে পেট্রল-ডিজ়েলের মূল্যের উপরেও দেশে সেগুলির দাম নির্ভর করে। ফলে আন্তর্জাতিক দাম বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে। তাঁর অবশ্য আশঙ্কা, মার্চ পর্যন্ত অশোধিত তেল ৭০-৮০ ডলারের মধ্যেই থাকবে। ৮০-৮৫ ডলারও হতে পারে।
এই অবস্থায় প্রমাদ গুনছে সংশ্লিষ্ট মহল। সকলের আক্ষেপ, বিশ্ব বাজারে তেল যখন সম্প্রতি ৭০ ডলারের নীচে নেমেছিল তখন দেশে তা বেশি কমেনি। গত বছর যেমন তলিয়ে যাওয়া অশোধিত তেলের সুবিধা মেলেনি। অথচ উল্টোটা হলে পেট্রল-ডিজ়েল বাড়ে রকেট গতিতে। তাই এই উদ্বেগ।