প্রতীকী ছবি।
অতিমারির জেরে আর্থিক ভাবে সমস্যায় পড়া সংস্থাগুলিকে সুরাহা দিতে দেউলিয়া আইনে নতুন মামলা দায়ের করা আপাতত স্থগিত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, এর ফলে চলতি অর্থবর্ষে অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া বেশ কিছুটা বিলম্বিত হবে। কমবে এনপিএ উদ্ধারের পরিমাণও।
করোনা সংক্রমণের শুরুতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। যার বিরূপ প্রভাব পড়ে শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির উপরে। এই অবস্থায় তাদের সাময়িক রেহাই দিতে গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে আগামী মার্চ পর্যন্ত দেউলিয়া আইনে নতুন মামলা রুজু করা যাবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
পাশাপাশি, পুরনো শুনানিও ভার্চুয়াল প্রযুক্তিতে হওয়ার ফলে মামলা শেষ হতে সময় লাগছে বেশি। সম্প্রতি মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই সব কারণে গত অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক সংস্থাগুলির পাওনা ফিরে পাওয়া প্রায় ৪০% কমবে। গত বছর যেখানে দেউলিয়া বিধিতে ১ লক্ষ কোটি টাকার মতো আদায় হয়েছিল, তা এ বার হতে পারে ৬০,০০০-৬৫,০০০ কোটি।
সমস্যা অবশ্য এখানেই শেষ হচ্ছে না। আইনজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, দেউলিয়া বিধির বিধিনিষেধের মেয়াদ পার হয়ে গেলে এক সঙ্গে বহু মামলা রুজু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে দেউলিয়া বিধি আদালতের উপরে চাপ বাড়বে। বিশেষ করে যখন প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও দেউলিয়া বিধি আদালতের নতুন বেঞ্চ তৈরির প্রক্রিয়া এখনও বিশেষ এগোয়নি।