নিতিন গডকড়ী। ফাইল চিত্র।
ভারতের আর্থিক উন্নতি নিয়ে কেন্দ্র নানা সাফল্য দাবি করলেও, প্রশ্ন ওঠে গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে। তেমনই ‘খুশি সূচকে’ দেশের অবস্থান আশাপ্রদ নয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সে সব প্রসঙ্গ না-তুললেও, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামীণ ভারত তথা কৃষি ক্ষেত্রের উন্নতি এবং দরিদ্রদের ধারাবাহিক উন্নয়ন কী ভাবে করা যায়, তা ভাবার কথা বললেন মোদী সরকারেরই মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। না-হলে খুশি সূচক ভাল হবে না বলেই কার্যত ইঙ্গিত দেন তিনি।
বুধবার মার্চেন্টস চেম্বারের সভায় পরিবেশের ভারসাম্য রেখে ধারাবাহিক উন্নয়নের জন্য গাড়ির জ্বালানি থেকে নির্মাণ শিল্পে পরিবেশবান্ধব বিকল্প কাঁচামালের ব্যবহার বৃদ্ধিতে জোর দেন সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী। কৃষির উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবহারের সওয়াল করেন। তাঁর দাবি, দেশের জিডিপি-তে কৃষির ভাগ মাত্র ১২%। অথচ গ্রামেই জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বসবাস। নিতিন বলেন, ‘‘কৃষিপণ্যে যথেষ্ট দাম মেলে না। এ ক্ষেত্রে তেমন অগ্রগতি ও কর্মসংস্থান না-থাকায় গ্রাম থেকে শহরে চলে আসছেন মানুষ। যা বড় সমস্যা। তাই গ্রাম ও কৃষি নিয়ে ভাবতে হবে। গ্রামে নতুন প্রযুক্তি কার্যকর করতে হবে।’’
মন্ত্রী জানান, বারাণসী-কলকাতা ও গোরক্ষপুর-শিলিগুড়ি, দু’টি গ্রিন এক্সপ্রেস হাইওয়ে গড়তে ৬০,০০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই সড়ক তৈরি হলে পরিবহণের সময় ও খরচ কমবে। তাঁর দাবি, পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচে সমস্যা নেই। আগামী বছরে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকার কাজ হবে। সরকার ব্যয় করবে দু’লক্ষ কোটি। বাকি মূলধনী বাজার থেকে জোগাড় হবে।