কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।
ভারতে অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর বার্তা দিতে মরিয়া সরকার। যার অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার ফের বিদেশি লগ্নির জন্য সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। আশ্বাস দিলেন, এ দেশে পুঁজি ঢালতে চাইলে বিদেশি সংস্থা তিন মাসেই সব ছাড়পত্র পাবে। ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পকে জানালেন, শীঘ্রই আসছে ত্রাণ প্রকল্প। যাতে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে তারা। অর্থ মন্ত্রকের প্রধান উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যালও এ দিন বলেছেন, ছোট-মাঝারি প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের বাজারে আরও ত্রাণের ব্যবস্থা সরকার।
মঙ্গলবার ভারত চেম্বারের সঙ্গে এক ভিডিয়ো বৈঠকে সঞ্জীব জানান, ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে আর্থিক কাজকর্ম শুরুই কেন্দ্রের লক্ষ্য। কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একগুচ্ছ পদক্ষেপ করলেও, ঋণ না-পাওয়া নিয়ে শিল্পের অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়ে নগদের জোগান বাড়ানোরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার কাছে বহু ছোট সংস্থার প্রাপ্য টাকা বকেয়া থাকার কথা এক সাক্ষাৎকারে এ দিন ফের স্বীকার করেন নিতিন। বলেন, সেটা এতটাই বেশি যে, বলতে পারবেন না। সম্প্রতি এক বৈঠকে এই বকেয়া নিয়ে মামলা না-করতে শিল্পের কাছে আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। এ দিন নিতিনের আশ্বাস, ‘‘বকেয়া মেটানো-সহ ছোট শিল্পকে সাহায্যের জন্য ১-২ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গড়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। আশা করছি, শীঘ্রই তা ঘোষণা করা হবে।’’
চিন থেকে যে সব সংস্থা সরে আসার কথা ভাবছে, তাদের লগ্নি পেতে মরিয়া সরকার ইতিমধ্যেই এ জন্য বিভিন্ন রাজ্যে ল্যান্ডব্যাঙ্ক তৈরির কাজে নেমেছে। এই লগ্নি টানতে এ দিন রাজ্যগুলিকে উপযুক্ত পরিকল্পনা করতে বলেন নিতিন। জানান, রাজ্য সরকার ও বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য বিশেষ যুগ্ম সচিবও নিয়োগ করেছেন তাঁরা।
এ দিকে, করোনা সঙ্কটের প্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতেও বাজেট বরাদ্দ বহু গুণ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা। সঞ্জীবের অবশ্য দাবি, তৃণমূলস্তরে রাজ্যগুলিই স্বাস্থ্য খাতে খরচ করে। তবে শুধু হাসপাতালের মতো চিকিৎসা পরিকাঠামোয় বরাদ্দই যথেষ্ট নয়। বরং তাঁর দাবি, গত ক’বছরে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সূচকের চমকপ্রদ উন্নতি হয়েছে।
শুধু হাসপাতাল নয়, স্যানিটাইজেশনের পাশাপাশি স্বচ্ছ নিকাশি ব্যবস্থা, জঞ্জাল সাফাই, শৌচাগার নির্মাণের মতো ক্ষেত্রে জোর দেওয়াই এর মূল কারণ।