—প্রতীকী চিত্র।
জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে শিল্প মহলের দাবি মেনে বহু বার করের হার কমিয়েছে জিএসটি পরিষদ। এর বিরুদ্ধে এ বার মুখ খুললেন নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চন্দ। তাঁর বক্তব্য, হারের রদবদল যদি করতেই হয়, তা হলে তা করা উচিত বছরে মাত্র এক বার। এ ছাড়াও জিএসটি কাঠামোয় মাত্র দু’টি করের হারের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। এই মুহূর্তে জিএসটিতে চারটি হার রয়েছে। এর পাশাপাশি, পাঁচটি পণ্যে জিএসটির উপরেও সেস বসে। আর বেশ কয়েকটি পণ্য রয়েছে জিএসটির আওতার বাইরে।
২০১৭ সালের ১ জুলাই চালুর পর থেকে বারবার বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার কর কমানো হয়েছে। চন্দের বক্তব্য, নতুন কর ব্যবস্থা চালু হলে শুরুতে কিছুটা সমস্যা হয়। কিন্তু প্রাথমিক লক্ষ্য থাকা উচিত কর সংগ্রহ বাড়ানোর দিকে নজর রাখা। কিন্তু তা না-করে বহু বার করের হার কমানো হয়েছে। তাঁর মতে, ‘‘জিএসটির হার কমানোর দাবি তোলা শিল্প মহলের অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ব্যবস্থার উদ্দেশ্য কিন্তু আরও বড়। নিয়মিত হার বদল করা কাজের কথা নয়। তা ছাড়া এই কর ব্যবস্থার এতগুলি হার হওয়া উচিতও নয়। দু’টি স্তর থাকুক।’’ সেই সঙ্গে চন্দের প্রশ্ন, কর সংগ্রহ ভাল না-হলে কেন্দ্র ও রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজ হবে কী ভাবে।