স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, গ্রামোন্নয়ন, প্রতিরক্ষা, রেল ও রাস্তা তৈরি— বাড়তি অর্থ বরাদ্দ হবে অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা এই ক্ষেত্রগুলিতে। ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ, সব পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগের লক্ষ্যে কাজ হবে। জমির দাম ও বাড়ি ভাড়া কমিয়ে আনার চেষ্টা হবে। আগামী অর্থবর্ষের মধ্যে রাজকোষ ঘাটতি কমিয়ে আনা হবে ৩ শতাংশে। সংগঠিত ক্ষেত্রে আরও কর্মসংস্থান তৈরির চেষ্টা হবে।
সাবেক যোজনা কমিশনের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বন্ধ হওয়ার পরে প্রথম তিন বছরের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’-এর এমনই খসড়া আজ প্রকাশ করল নীতি আয়োগ। উপাধ্যক্ষ অরবিন্দ পণগরিয়া আজ থেকেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে এ বিষয়ে মতামত চাইবেন।
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বদলে ১৫ বছরের ‘পার্সপেক্টিভ প্ল্যান’, ৭ বছরের ‘স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান’ এবং ৩ বছরের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’-এর কাঠামো তৈরি করছে নীতি আয়োগ। এত দিন যোজনা কমিশনের হাতে রাজ্যগুলিকে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ করার ক্ষমতা থাকত। নীতি আয়োগের তা নেই। অথচ, তিন বছরের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’-এ চাকরির সুযোগ তৈরির জন্য শ্রম ক্ষেত্রের সংস্কার বা ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনে পরিবর্তনের মতো অধিকাংশ কাজই তার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ছে।
প্রশ্ন উঠেছে, এত দিন যোজনা কমিশনের থেকে বিশেষ অনুদান পাওয়ায় রাজ্যগুলি কিছুটা হলেও তাদের কথা শুনত। এখন আয়োগের কথা শুনবে কেন? পণগরিয়া বলেন, ‘‘রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই এই অ্যাকশন প্ল্যানের খসড়া তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে এ বিষয়ে মতামত চাইব। আগামী মাসে আমি ও আয়োগের অন্য কর্তারা বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে আলোচনায় বসব। সেখানে তাদের বোঝানোর চেষ্টা হবে।’’ আয়োগের সদস্য বিবেক দেবরায় বলেন, ‘‘এক দিকে আয়োগের হাতে অর্থ বরাদ্দের ক্ষমতা না-থাকায় কথার মাধ্যমে ঐকমত্য গড়ে তুলতে সুবিধা হবে।’