প্রতীকী ছবি
গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা। বাদ নেই ভারতও। বিশেষত, অতিমারির মধ্যে বাড়ি থেকে কাজ এবং পড়াশোনার কারণে অনেক ক্ষেত্রে তা আরও মাথাচাড়া দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশে বেশি চিনি, নুন ও চর্বি থাকা প্যাকেটের খাবারে কর বসানোর কথা কেন্দ্র ভেবে দেখতে পারে বলে জানাল নীতি আয়োগ। বর্তমানে ব্র্যান্ড ছাড়া প্যাকেটবন্দি ভুজিয়া, ভেজিটেব্ল চিপস ও চটজলদি খাবারে (স্ন্যাকস) ৫% জিএসটি বসে। ব্র্যান্ডেড পণ্যের ক্ষেত্রে করের সেই হার ১২%।
গত বছর জুনে মোটা হওয়ার সমস্যা নিয়ে জাতীয় স্তরে আলোচনার আয়োজন করেছিল নীতি আয়োগ। বিভিন্ন নীতি এনে কী ভাবে এই সমস্যা আটকানো যায়, সেখানে তা নিয়ে কথা হয়। সেই সভাতেই উঠে আসা তথ্য অনুসারে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে ২০২১-২২ সালের বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছে তারা। যার মধ্যে ওই ধরনের খাবারে কর বসানো ছাড়াও রয়েছে প্যাকেটের সামনে লেবেল বদলানো ও এগুলির বিপণন ও বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত নানা বিষয়।
বিশেষত বাচ্চা, কম বয়সী এবং মহিলাদের মধ্যে মোটা হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা, ২০১৯-২০ অনুসারে মহিলাদের মধ্যে সেই হার ২০১৫-১৬ সালের ২০.৬% থেকে বেড়ে হয়েছে ২৪%। পুরুষদের মধ্যে তা ১৮.৪% থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২.৯%। সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করে নীতি আয়োগ।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ব্রিটেন, জাপান, ডেনমার্ক-সহ বিভিন্ন দেশে মোটা হওয়ার প্রবণতা বাড়ায়, সেই ধরনের খাবারে কর বসেছে বা বসানোর কথা ভাবা হয়েছে। এমনকি ভারতেও ২০১৫-১৬ সালে বাজেটে পিৎজ়া, বার্গার ও অন্যান্য জাঙ্ক ফুডে কর বসানোর প্রস্তাব দিয়েছিল কেরল। তবে কেন্দ্র সারা দেশে সেই কর বসানোর পথে আদৌ হাঁটতে রাজি হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।