আয় বাড়াতে সম্পত্তি বিক্রি

রাজস্ব ক্ষতি হবে জেনেও অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কর্পোরেট কর কমানো-সহ নানা পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। প্রয়োজনে আরও নেবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

তেল সংস্থা ওএনজিসির গল্ফ কোর্স বিক্রি হোক। দিল্লিতে এনটিপিসির ৪০০ জমি পড়ে। বেচতে হবে। ৫,০০০ কিমি জাতীয় সড়ক, রেল লাইন যাক বেসরকারি হাতে। বিএসএনএল-এমটিএনএলের টাওয়ার, গেলের পাইপলাইন, পাওয়ার গ্রিডের বিদ্যুৎবাহী পরিকাঠামো থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জমি, স্টেডিয়াম, বন্দর-জেটিও তাই। বেসরকারিকরণ হোক ইনদওর, বারাণসীর মতো ছ’টি ছোট বিমানবন্দর। চেষ্টা হোক অশোক হোটেলের মতো সম্পত্তি বিক্রিরও।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে এ রকম সম্পত্তির তালিকা তৈরি করছে নীতি আয়োগ। কারণ, রাজকোষ ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে বিপিসিএল, কন্টেনার কর্পোরেশন, শিপিং কর্পোরেশন, নিপকো ও টিএইচডিসি মতো সংস্থা বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়, এমন সম্পত্তি বেচে টাকা তোলারও কৌশল নিচ্ছে কেন্দ্র।

রাজস্ব ক্ষতি হবে জেনেও অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কর্পোরেট কর কমানো-সহ নানা পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। প্রয়োজনে আরও নেবে। তাই এ বছর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নি থেকে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা তোলার পাশাপাশি কেন্দ্র আরও ১ লক্ষ কোটি পেতে চায় সরকারি সংস্থার অপ্রয়োজনীয় সম্পত্তি বেচে। যাতে রাজস্ব কমলে বা খরচ বাড়লেও ঘাটতি বেলাগাম না হয়। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের প্রশ্ন, এখন না হয় ঘাটতি মেটাতে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি হল। ভবিষ্যতে কী হবে?

Advertisement

কেন্দ্র অবশ্য স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্যের কথাই ভাবছে। বিপিসিএল, কনকর, শিপিং কর্পোরেশন, টিএইচডিসি, নিপকো বিলগ্নির জন্য মন্ত্রিসভার সায় চাওয়া হবে। আশা, আয় হবে ৬৫- ৭৫ হাজার কোটি। নরেন্দ্র মোদী আমেরিকার হিউস্টনে ‘হাউডি মোদী’ করে ফিরেছেন। বিদেশি সংস্থার আগ্রহ মাপতে বিপিসিএল বেচতে সেখানেই ‘রোড শো’ হবে। বিলগ্নিকরণ দফতর বলছে, না হলে রাষ্ট্রায়ত্ত আইওসিকে বেচা হবে। নিপকোকে নেবে এনটিপিসি, টিএইচডিসিকে নেবে এনএইচপিসি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement