কার্লোস ঘোসন
কার্লোস ঘোসন এখন লেবাননে। আর্থিক অনিয়মে অভিযুক্ত নিসানের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জামিনে ছাড়া পেয়ে এত দিন নজরদারিতে জাপানেই ছিলেন। জামিনের শর্তও ছিল, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। কিন্তু মঙ্গলবার প্রতিনিধির মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে ঘোসন জানিয়েছেন, তিনি লেবাননে রয়েছেন। তাঁর দাবি, তিনি বিচার প্রক্রিয়া থেকে পালাননি। জাপানে ‘অবিচার ও রাজনৈতিক নিপীড়ন’ এড়াতেই সে দেশ ছেড়েছেন। আজ লেবানন বিবৃতিতে জানিয়েছে, আইনি পথেই দেশে এসেছেন ঘোসন।
২০১৮ সালের নভেম্বরে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে জাপানে গ্রেফতার হন ঘোসন। যদিও তাঁর বরাবরের দাবি, তিনি নির্দোষ। এপ্রিলে তাঁকে ফের জাপানে বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হত। এর আগে দু’টি পৃথক অভিযোগে মোট ১.৪ কোটি ডলার দিয়ে জামিন পান ঘোসন। কিছু দিনের মধ্যেই অন্য এক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সরকারি কৌঁসুলিরা জামিন দেওয়ার বিরোধিতা করলেও, শেষে এক আদালতে তিনি জামিন পান। তবে শর্ত দেওয়া হয়, তাঁকে নজরদারিতে থাকতে হবে। স্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করতে পারবেন না। তাঁরা সম্প্রতি ভিডিয়ো-কলে কথা বলেন।
আজ ঘোসনের বন্ধু রিকার্ডো কারাম বলেন, ‘‘ও এখন বাড়িতে। এটা বড় অ্যাডভেঞ্চার।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, জাপানের আইনজীবীরা দেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘোসন কী ভাবে দেশ ছাড়লেন তা তাঁরা জানেন না। অবশ্য লেবাননের সংবদমাধ্যমের খবর, ঘোসন তুরস্ক থেকে ব্যক্তিগত বিমানে বেইরুটে পৌঁছন। বিবৃতিতে ঘোসন বলেছেন, ‘‘আমি লেবাননে। জাপানের ত্রুটিপূর্ণ বিচার ব্যবস্থা, যেখানে অভিযুক্তকে আগাম দোষী বলে ধরা হয়, বৈষম্য চলে ও ন্যূনতম মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, তার অধীনে বন্দি থাকতে চাইনি।’’
অভিযুক্তকে ফেরানো নিয়ে জাপানের সঙ্গে লেবাননের চুক্তি নেই। তাই এখন জাপানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, তা স্পষ্ট নয়।