Nirmala Sitharaman

তেলে শুল্ক না-ছাঁটা নিয়ে যুক্তি নির্মলার

করোনায় যখন বহু মানুষের রুটি-রুজি চরম ধাক্কা খেয়েছে, তখন কেন্দ্র তেলে সেস না-বসিয়ে তাঁদের মাত্রাছাড়া চড়া দামের হাত থেকে বাঁচাতে পারত না কি?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:১৭
Share:

ফাইল চিত্র।

দেশ জুড়ে তেলের দাম চড়ছে নজিরবিহীন ভাবে। রবি ও সোমবার দর এক জায়গায় স্থির থাকলেও, এই মুহূর্তে কলকাতায় আইওসির পাম্পে লিটার পিছু পেট্রল বিকোচ্ছে ৮৮.৩০ টাকায়। ডিজেলের দাম ৮০.৭১ টাকা। এমন অবস্থায় কেন্দ্র উৎপাদন শুল্ক না-কমানোয় জ্বালানির চড়া মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ নিয়ে রবিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাবি, ‘‘কেন্দ্র উৎপাদন শুল্ক কমালে রাজ্যগুলি কর বাড়াবে, যাতে দাম একই থাকে এবং কিছু রাজস্ব আদায় করা যায়।’’ এ কথা শুনে বিস্মিত সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, তার মানে বহু আর্জি সত্ত্বেও কেন্দ্র শুল্ক কমিয়ে তেলের দাম কমানোর ব্যবস্থা করছে না রাজ্য কর বাড়িয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করবে বলে? অনেকের প্রশ্ন, মানুষকে সুরাহা দেওয়ার প্রশ্নে এই যুক্তি সত্যিই ধোপে টেকে কি?

Advertisement

বাজেটে পেট্রল-ডিজেলে বাড়তি বিশেষ উৎপাদন শুল্ক কেন্দ্র কমিয়েছে ঠিকই। কিন্তু বদলে ওই কমিয়ে দেওয়া অংশের পরিমাণে কৃষি পরিকাঠামো ও উন্নয়ন সেস বসিয়েছে। ফলে দাম বদলায়নি। তার পরেই উঠেছে প্রশ্ন, করোনায় যখন বহু মানুষের রুটি-রুজি চরম ধাক্কা খেয়েছে, তখন কেন্দ্র তেলে সেস না-বসিয়ে তাঁদের মাত্রাছাড়া চড়া দামের হাত থেকে বাঁচাতে পারত না কি? বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি যখন দাবি করছে, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল দামি হওয়ায় তাদের দাম বাড়ানো ছাড়া পথ নেই।

উল্লেখ্য, এর আগে নির্মলা বলেছিলেন, তেলে কর বসিয়ে রাজ্যগুলি অনেক বেশি টাকা আদায় করে। অথচ সকলে দোষারোপ করেন শুধু কেন্দ্রকে। বাজেটে তেলের উপরে বোঝা বাড়ানো হয়নি বলেও যুক্তি দিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement