নিজস্ব চিত্র।
বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও, দেশে কয়লার জোগান সঙ্কটে তাল মিলিয়ে উৎপাদন করা যাচ্ছে না। ফলে বহু রাজ্যের মানুষ নাস্তানাবুদ হচ্ছেন লোডশেডিংয়ে। সমস্যা কাটাতে কয়লা আমদানিতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার উপদেষ্টা সংস্থা ইক্রার হুঁশিয়ারি, এতে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলির খরচ এই অর্থবর্ষে ৪.৫%-৫% বাড়বে। এই অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন ও উন্নত বিদ্যুৎ পরিষেবা নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলিকেই এ দিন উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়তে বলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি মূলত শিল্পের চাহিদার প্রেক্ষিতে এ কথা বললেও সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, তেলের করের মতো সার্বিক ভাবে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর দায়ও রাজ্যগুলির উপরে চাপাতে চাইছে কেন্দ্র।
যে সব বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা আমদানির কয়লা ব্যবহার করে, সম্প্রতি তাদের পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদনের নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক। রাজ্য এবং যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলি দেশের কয়লা ব্যবহার করে, তাদেরও অন্তত ১০% আমদানি করে তার সঙ্গে মেশাতে বলেছে। ইক্রার কর্তা গিরীশকুমার কদমের মতে, এপ্রিল ও মে মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে যথাক্রমে ১১.৫% এবং ১৭.৬%। অথচ কয়লার সঙ্কট, আমদানি খরচ বৃদ্ধি ইত্যাদির জেরে কমেছে উৎপাদন। চড়া গরম এবং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের জেরে চলতি অর্থবর্ষে কয়লা আমদানি বেড়ে হবে ১২%-১৩%। কিন্তু এতে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়বে, আশঙ্কা অল ইন্ডিয়া পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশনের। যদিও বিদ্যুৎ মন্ত্রকের দাবি, আমদানি করা কয়লার দাম অক্টোবর থেকে কমছে।
গিরীশের মতে, কেন্দ্রের নির্দেশে বণ্টন সংস্থাগুলির খরচ বাড়বে ৪.৫%-৫%। ইতিমধ্যেই মার্চের চেয়ে মে মাসে এমন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির পরিবর্তনশীল খরচ বেড়েছে ইউনিট প্রতি তিন টাকা করে। ইক্রার আর এক কর্তা বিক্রম ভি-র মতে, বণ্টন সংস্থাগুলির আয় এবং ব্যয়ের ফারাক জাতীয় স্তরে ইউনিট প্রতি বেড়ে ৬৮ পয়সা হবে। আগে যা ৫০ পয়সা হবে ধরা হয়েছিল।