নির্মলা সীতরামন। ফাইল চিত্র।
তিনি অর্থমন্ত্রী। কিন্তু অর্থনীতি কোথায় দাঁড়িয়ে, তা নিয়ে আলোচনায় নারাজ নির্মলা সীতারামন। খুচরো মূল্যবৃদ্ধি চড়ছে, অথচ বৃদ্ধির হার কমতে থাকায় অর্থনীতি ‘স্ট্যাগফ্লেশন’-এর কবলে পড়ল কি না, মন্তব্য করতে চান না তা নিয়েও। অর্থনীতির হাল কবে ফিরতে শুরু করবে, সেই প্রশ্নে শুধু জবাব এল, ‘‘কোনও পূর্বাভাসের মধ্যে যেতে রাজি নই।’’ মূল্যবৃদ্ধি মাথা তুললে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ফের সুদ বাড়াবে কি? উত্তর একই, ‘‘সুদ, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে জল্পনায় যাব না।’’ আর পেঁয়াজের দাম কবে থেকে কমবে? বললেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে খবর দেখছি, কিছু জায়গায় দাম কমছে।’’
আজ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন নির্মলা। কিন্তু বেশির ভাগ প্রশ্ন নিয়েই আলোচনায় রাজি হলেন না। তবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করেছে, তার তালিকা শোনালেন আবার। যদিও অর্থনীতিতে সেগুলির প্রভাব নিয়ে মুখে কুলুপই রইল। যুক্তি দিলেন, ‘‘বিশেষণ ব্যবহার করতে চাই না।’’ মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যনের দাবি, সরকারের আর্থিক সংস্কারের ফল মিলতে শুরু করেছে।
রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকা না-মেটানো ও এই করের হার বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা প্রসঙ্গে নির্মলা জবাব, ‘‘আমার দফতর ছাড়া সব জায়গাতেই গুঞ্জন। এ নিয়ে আমার টিমের সঙ্গে কথা বলিনি।’’ তা হলে এই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা কেন? অর্থমন্ত্রীর বার্তা, যেখানে অর্থনীতির সমস্যা, সেখানে কাজ করছি। যখন যেমন দরকার হবে, শিল্পের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করব।