প্রতীকী ছবি।
এক দিকে শিল্পকে পুঁজি জুগিয়ে উৎপাদন চাঙ্গা করা। অন্য দিকে মানুষের হাতে ঋণ পৌঁছে দিয়ে বাজারে চাহিদা বাড়ানো। গত তিন-চার বছর ধরে এই জোড়া পথে অর্থনীতির পালে হাওয়া টানার চেষ্টা করে চলেছে কেন্দ্র। এরই অঙ্গ হিসেবে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে মসৃণ করা ও ঋণের পথ প্রশস্ত করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ইজ় (এনহ্যান্সড অ্যাকসেস অ্যান্ড সার্ভিস এক্সেলেন্স) কর্মসূচি নেওয়া হয়। বুধবার মুম্বইয়ে ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্ণধারদের সঙ্গে বৈঠকের পরে তার চতুর্থ সংস্করণের (ইজ় ৪.০) কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জানালেন, ঋণের জোগানে গতি বাড়াতে অক্টোবর থেকে জেলায় জেলায় উদ্যোগী হবে ব্যাঙ্কগুলি। জোর দেওয়া হবে করোনার ধাক্কা সামলাতে আনা ঋণ নির্ভর ত্রাণ প্রকল্পে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ২০১৯ সালে সারা দেশে ঋণ মেলা করেছিল ব্যাঙ্কগুলি। এ বারে হবে আরও বড় আকারে।
এ দিন বৈঠকের পরে অর্থমন্ত্রী কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ঋণের গতি প্রত্যাশিত জায়গায় না-পৌঁছনোয়। তিনি জানান, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে ব্যাঙ্কগুলিতে আমানত বাড়ছে বিপুল ভাবে। কিন্তু ঋণ বৃদ্ধির হার ততটা নয়। এই প্রবণতা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। ব্যাঙ্কগুলিকে এই অঞ্চলে ঋণের জোগান বাড়াতে বলেছেন মন্ত্রী। নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর-পূর্বে রফতানি ও পণ্য পরিবহণে পুঁজির জোগান নিশ্চিত করতে। জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা ‘এক জেলা, এক রফতানি’ কর্মসূচিকে সফল করতে জেলায় জেলায় সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে।
করোনার আগে-পরে কেন্দ্র ঋণের জোগানে গুরুত্ব দিলেও সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের বক্তব্য, তার চাহিদা যথেষ্ট নয়। নির্মলা অবশ্য সেই দাবি খারিজ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ঋণের চাহিদা কোন জায়গায় রয়েছে সে ব্যাপারে মন্তব্য করার সময় আসেনি। তা সত্ত্বেও সব সময়ে ঋণ বৃদ্ধির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’’ অতিমারির হানা সত্ত্বেও যে ভাবে কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কড়া নজরদারি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, কেউ কেউ মুনাফার মুখ দেখেছে এবং নিজেদের উদ্যোগে পুঁজি সংগ্রহ করেছে, তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এ দিকে, রাজস্ব সচিব তরুণ বজাজ বলেছেন, ভারতীয় সংস্থার শেয়ার বিদেশের বাজারে সরাসরি নথিভুক্তির জন্য আইনের সংশোধনী পরের বাজেট অধিবেশনে পেশ হতে পারে।