—প্রতীকী চিত্র।
অবসর পরবর্তী সময়ে বয়স্কদের জন্য সঞ্চয় বৃদ্ধির একটা বড় উপায় হল সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। তবে নিয়ম অনুযায়ী, এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে বিনিয়োগকারীরা এক বার তিন বছরের জন্য তা বৃদ্ধি করতে পারতেন। যদিও সে ক্ষেত্রে ৮০সি-র আওতায় কোনও কর ছাড় পাওয়া যেত না। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ত্রৈমাসিকে সিনিয়র সিটিজেন স্কিমে বার্ষিক সুদের হার রয়েছে ৮.২ শতাংশ।
একটি সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে কোনও বিনিয়োগকারী পাঁচ বছরের মেয়াদে প্রতি তিন মাস অন্তর সুদ পান। মেয়াদ ফুরোলে বিনিয়োগকৃত মোট অর্থ বিনিয়োগকারীকে ফেরত দেওয়া হয়। পাশাপাশি মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কোনও বিনিয়োগকারী মাত্র এক বারই তিন বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করতে পারতেন। এ বার সেই নিয়মই বদলে গেল। নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনও গ্রাহক প্রতি তিন বছর অন্তর একাধিকবার প্রকল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য কোনও বিনিয়োগকারীকে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত নির্দিষ্ট একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। এর পরে পোস্ট অফিস অথবা ব্যাঙ্ক যেখানে ওই গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, সেখানে ওই ফর্মটি জমা দিয়ে মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন জানাতে হবে।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বৃদ্ধির সময় বেশ কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত, এই অ্যাকাউন্টের মেয়াদ যে দিন শেষ হবে, সে দিন যে পরিমাণ সুদের হার থাকবে, মেয়াদ বৃদ্ধির পরে সেই হারেই সুদ পাবেন গ্রাহকেরা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সংশ্লিষ্ট গ্রাহক যে অর্থের অঙ্ক পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করেছিলেন, সেই পরিমাণ অর্থই আগামী তিন বছরের জন্য বাড়ানো যাবে। পাশাপাশি, মেয়াদ বৃদ্ধির পরেও গ্রাহক এক বছর পরেই এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে জরিমানা হিসাবেও কোনও অর্থ কাটা যাবে না।