প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর রঘুরাম রাজন।
অর্থনীতির চাকা ক্রমশ বসে যাওয়া নিয়ে এ বার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রঘুরাম রাজন। তার দাওয়াই হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর বললেন একগুচ্ছ নতুন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা। তবে একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, সংস্কারে অযথা ঝুঁকি বা অকারণ সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ নেই। কেন্দ্রের মন দেওয়া উচিত বিদ্যুৎ, ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফসি) সংস্কারে। কারণ রাজকোষের যা হাল, তাতে শুধু ত্রাণ প্রকল্পে চিঁড়ে ভেজা শক্ত।
২০০৮ সালের মন্দার পূর্বাভাসের জন্য রাজনকে এক ডাকে চেনে দুনিয়া। ফলে যখন ভারত-সহ বিশ্বের আকাশে মন্দার মেঘ ফের ঘনাচ্ছে বলে অনেকের আশঙ্কা, তখন তাঁর এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষত, যখন দেশের বাজারে চাহিদা নেই। বিক্রি কমছে ভোগ্যপণ্য, গাড়ির। বহু লক্ষ চাকরি ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে গাড়ি শিল্পে।
শিল্প থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক— পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রের কাছে ত্রাণ প্রকল্পের জন্য দরবার করছে সকলেই। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপকের দাবি, শুধু ত্রাণ প্রকল্প দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান হতে পারে না। সে ক্ষেত্রে রাজকোষ ঘাটতি মাত্রাছাড়া হওয়ার আশঙ্কা। বরং হাল ফিরতে পারে বেসরকারি লগ্নি বৃদ্ধির হাত ধরে। যার জন্য একগুচ্ছ সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।
বৃদ্ধি মাপার পদ্ধতি ফিরে দেখা জরুরি বলেও জানান রাজন। তুলে আনেন প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনের কথা। সুব্রহ্মণ্যন বলেছিলেন, আসলে দেশে বৃদ্ধির গড় হার সরকারি পরিসংখ্যানের থেকে প্রায় ২.৫ শতাংশ বিন্দু কম। রাজনের এই প্রশ্নগুলি ফিরে দেখা জরুরি।