এক দিকে আয়কর রিটার্নের নতুন ফর্ম চালুর কথা জানানো। বিভিন্ন ক্ষেত্রে জমা দেওয়া টাকায় করছাড়ের সুবিধা উসুলের বার্তা দেওয়া। অন্য দিকে করফাঁকি আরও কড়া হওয়ার কথা জানিয়ে সতর্ক করে রাখা। নতুন আয়কর রিটার্ন ফর্ম নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের (সিবিডিটি) জারি করা বিজ্ঞপ্তির এটাই হল সার কথা।
২০১৯-২০ অর্থবর্ষের আয়ের উপরে করের হিসেব দেখিয়ে এ বছর রিটার্ন জমার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়েছে আগেই। বিমা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা জমা দিতে বাড়তি সময় মঞ্জুর হয়েছে অন্তত ৩০ জুন পর্যন্ত। ২০১৯-২০ সালেই যাতে এই জমায় আয়কর ছাড় দাবি করা যায়, তার ব্যবস্থা আছে নতুন ফর্মে।
সেই সঙ্গে কর ফাঁকি আটকাতে রয়েছে আইটিআর-১, ২, ৩ ও ৪ ফর্মে তিন প্রশ্নের নতুন দাওয়াই। সংশ্লিষ্ট অর্থবর্ষে আয়করদাতা ব্যাঙ্কের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকার বেশি জমা দিয়েছেন কি না। বিদেশ সফরে ২ লক্ষের বেশি খরচ করেছেন কি না। ১ লক্ষের বেশি বিদ্যুৎ বিল দিয়েছেন কি না। ফর্মে এগুলির জবাব দিতেই হবে। আর একটিরও উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে রিটার্ন জমা দিতেই হবে। এত দিন না-দিলেও।
আয়কর বিশেষজ্ঞ নারায়ণ জৈনের দাবি, ‘‘ফর্ম বদলের লক্ষ্য, এক দিকে করদাতাদের ছাড়ের পুরো সুবিধা নেওয়ার ব্যবস্থা করা। অন্য দিকে করযোগ্যদের তার দায় এড়ানো আটকানো।’’ তবে অনেকেই বলছেন, নতুন ফর্ম বেশি জটিল। কত জন নিজে তা ভরতে পারবেন সন্দেহ আছে। জৈন বলেন, “সিবিডিটি ফর্ম সরলের নীতি নিয়েছিল বলেই সাধারণ করদাতাদের রিটার্ন ফর্মের নাম রেখেছে ‘সহজ’। কিন্তু এ বার তা যে ভাবে তৈরি হয়েছে, তাতে ওই নীতি থেকে সরেছে তারা।’’