প্রতীকী ছবি।
সংসদে পাশ হয়েছে আগেই। নরেন্দ্র মোদী সরকার আগামী ১ জুলাই থেকে দেশ জুড়ে নয়া শ্রম আইন চালু করতে পারে বলে সরকারি সূত্রের খবর। নয়া শ্রম আইন কার্যকর হলে কর্মচারীদের বেতন, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প (ইপিএফ, পেনশন ও গ্র্যাচুইটি), স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধি এমনকি কাজের সময় অনেকটাই বদলে যাবে।
২০২০-র শেষ পর্বে সংসদে শ্রম বিল পাশ করিয়েছিল মোদী সরকার। শ্রম ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে ৪৪টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনের মধ্যে ১৫টিকে ‘বর্তমান সময়ের পক্ষে অপ্রাসঙ্গিক’ চিহ্নিত করে বাতিল করে কেন্দ্র। বাকি ২৯টিকে নিয়ে আসা হয় চারটি শ্রমবিধিতে। এ বার সেই শ্রমবিধিগুলি কার্যকর করার ইঙ্গিত মিলেছে কেন্দ্রের তরফে।
ওই চার শ্রমবিধি কার্যকর হলে কর্মচারীদের দৈনিক কাজের সময় বেড়ে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাড়বে সাপ্তাহিক ছুটির সংখ্যাও। এমনকি, সপ্তাহে তিন দিন ছুটিও মিলতে পারে। কর্মীদের সাপ্তাহিক ওভারটাইমের সর্বোচ্চ সীমা ৫০ ঘণ্টা থেকে বেড়ে হতে পারে ১২৫ ঘণ্টা।
নয়া শ্রমবিধিতে কর্মীদের মোট বেতনের অন্তত ৫০ শতাংশ ‘বেসিক’ হতে হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে কর্মী ও নিয়োগকারী সংস্থার পিএফ অনুদানও। অবসরের সময় পাওয়া গ্র্যাচুইটির অঙ্কও বাড়বে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা তহবিলের সুযোগও রয়েছে শ্রমবিধিতে।
কোভিড অতিমারির সময়ে দেশের বহু সংস্থাই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু করেছিল। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনও অনেক সংস্থাই তা বজায় রেখেছে। নয়া শ্রমবিধিতে এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। সংসদে পাশ হওয়া শ্রম সংস্কার বিলে বলা হয়েছিল, কোনও রাজ্যে নয়া বিধি চালু করতে গেলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের ছাড়পত্র প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের সুপারিশ মেনে দেশের ২৩টি রাজ্য শ্রমবিধি সংস্কার করেছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।