ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন শিল্প? প্রতীকী ছবি
অবশেষে কি সুড়ঙ্গের শেষে আলোর দিশা! বেড়াতে যাওয়ার খোঁজ-খবর ও বুকিংয়ের জন্য পর্যটন সংস্থার দরজায় ভিড় জমানোর চেনা ছবিটা উধাও হয়েছিল করোনার একের পর এক ঢেউয়ে। চলতি মাসে তার খানিকটা ফিরতেই আবার আশায় বুক বাঁধছে রাজ্যের পর্যটন শিল্প। তাদের দাবি, তৃতীয় দফায় সংক্রমণের গতি কমার পরে বহু মানুষ যোগাযোগ করেছেন। দোলের ছুটির বুকিং প্রায় শেষ। এখন এপ্রিল-মে মাসেরটা চলছে। দু’বছর ধরে বইতে থাকা লোকসানের অন্তত কিছুটা হয়তো পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
অতিমারিকে ঠেকাতে ঘরবন্দি হওয়ার বাধ্যবাধকতা ২০২০ থেকে পর্যটন সংস্থাগুলির ব্যবসা কাড়ছে। তাদের আক্ষেপ, সংক্রমণের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউ ফিকে হওয়ার পরে কিছু মানুষ ঘর ছেড়ে পথে বেরিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু সংখ্যাটা করোনার আগের ধারেকাছেও পৌঁছয়নি। উল্টে যতবার চাকা ঘোরার ইঙ্গিত মিলেছে, ততবার নতুন সংক্রমণ ও নিষেধাজ্ঞা ভ্রমণের পথ আটকেছে। তৃতীয় ঢেউয়ের পরে এখানেই আশার আলো দেখছেন ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সেক্রেটারি অমিতাভ সরকার ও প্রাক্তন সেক্রেটারি নীলাঞ্জন বসু, অ্যাসোসিয়েশন অব ডোমেস্টিক টুর অপারেটর্স অব ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গের চেয়ারম্যান দেবজিৎ দত্ত। সকলেই বলছেন, খোঁজ নেওয়া এবং বুকিংয়ের গতিতে চাহিদা করোনার আগের থেকেও বেশি বাড়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট।
অমিতাভর দাবি, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের চাহিদা নজরকাড়া। ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের চাহিদাও যথেষ্ট, দাবি নীলাঞ্জনের। দেবজিতের বক্তব্য, করোনা নিয়ে বিভ্রান্তি ততটা আর নেই। বরং কোথাও গিয়ে সমস্যা হতে পারে কি না, সে নিয়ে সংশয় তা-ও কিছুটা আছে।
আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ থাকায় ও অনেকেই ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিতে সাহস না-পাওয়ায় রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় বেশি, মত অমিতাভ ও দেবজিতের। তবে তাঁদের দাবি, কোথাও কোথাও চাহিদামতো পরিকাঠামোর অভাব মস্ত চ্যালেঞ্জ। কারণ গত দু’বছরে হোটেল-সহ বহু পরিকাঠামোরই বেহাল দশা। ব্যবসা বিস্তারের জন্য সার্বিক নীতি তৈরির সওয়াল করেছেন অমিতাভ।