প্রতীকী ছবি।
আইনি জট কাটিয়ে কেব্ল টিভি, ডিটিএইচের মতো পরিষেবায় গ্রাহকদের চ্যানেল দেখার নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে শুক্রবার। কিন্তু শুরু থেকেই তা কার্যত খুঁড়িয়ে চলছে। অভিযোগ উঠছে, পছন্দের চ্যানেলের নতুন তালিকা জমা দেওয়া গ্রাহকদের অধিকাংশই শনিবার পর্যন্ত তা দেখতে পাননি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার জন্যই এটা ঘটেছে। তবে মাল্টি-সিস্টেম-আপারেটর (এমএসও) এবং স্থানীয় কেব্ল অপারেটরদের (এলসিও) আশা, দু’এক দিনে সমস্যা মিটে যাবে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের মোট কেব্ল টিভি গ্রাহকের ২০ শতাংশেরও চ্যানেলের তালিকা নতুন ব্যবস্থায় নথিভুক্ত হয়নি। শনিবার আইডিয়াল কেব্ল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের অলোক শর্মা ও বেঙ্গল কেব্ল টিভি অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের অনিল বদলানি জানান, এমএসওর পোর্টালে গ্রাহকদের দেওয়া তালিকা নথিভুক্ত করার পরেই পছন্দের চ্যানেল দেখার সুযোগ মিলবে। কিন্তু শুক্রবার থেকে এ দিন বেলা পর্যন্ত বহু জায়গায় সেই সব পোর্টাল ব্যবহার করতে পারেননি তাঁরা। অনিলের অভিযোগ, এমএসওরা চ্যানেল দেখার আগাম টাকা চাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন অনেক এলসিও। এ জন্য তাঁরা বাড়তি সময় চেয়েছেন।
তালিকা নথিভুক্তির প্রাথমিক সমস্য়ার কথা মানলেও রাজ্যের দুই অন্যতম এমএসওর কর্তা সুরেশ শেঠিয়া ও বিজয় আগরওয়ালের দাবি, শীঘ্রই তা মিটে যাবে। নতুন ব্যবস্থায় অগ্রিম টাকা জরুরি বলেও তাঁদের যুক্তি। তবে এলসিওদের সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। এ দিন ট্রাইয়ের দিল্লির এক কর্তা জানান, পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। বিক্ষিপ্ত সমস্যা ছাড়া বড় কোনও সমস্যা নেই।
এমএসওদের অবশ্য দাবি, তালিকা জমা না দিলেও এখনই চ্যানেল বন্ধ করা হচ্ছে না। নতুন ব্যবস্থায় পা রাখতে গিয়ে গ্রাহকদের যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য ট্রাই তাঁদের নির্দেশ দিয়েছে। ফলে তালিকা দিলে, এমএসওরা তা চালু না করা পর্যন্ত আগে দেখা সব চ্যানেলই দেখা যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, যাঁরা তলিকা জমা দেননি, তাঁরাও আপাতত একই সুবিধা পাবেন। কিন্তু কত দিন তা চালু থাকবে, সেটা নিশ্চিত নয়। তালিকা জমা না দিলে কিছু দিন পরে পে চ্যানেল বন্ধের সম্ভাবনা থাকলেও, ‘ফ্রিটুএয়ার’ চ্যানেল অবশ্য চালু থাকবে।