NDB

অশনি সঙ্কেত এ বার এডিবিরও

এডিবির মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইয়াসুয়ুকি সাওয়াদার মতে, অতিমারি ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের জের পড়েছে ভারতের অর্থনীতিতে।

Advertisement

নয়াদিল্লি

সংবাদ সংস্থা  শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৪৫
Share:

প্রতীকী চিত্র।

অর্থনীতির চেহারাটা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা ঘিরে পাল্লা ভারী হচ্ছে। একের পর এক মূল্যায়ন ও উপদেষ্টা সংস্থা চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস বাড়ানোর পরে মঙ্গলবার একই পথে হাঁটল এডিবি। জানাল, তা হতে পারে ৯%। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও অন্তত ১৫% সঙ্কোচনের আশঙ্কার কথা বলেছেন। কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে দাবি করেছেন, অসংগঠিত ক্ষেত্রের ক্ষতি ধরলে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে জিডিপি ২৩.৯% নয়, কমেছে প্রায় ৩২%-৩৩%। তবে সরকারের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সব্রহ্মণ্যনের বার্তা, সংস্কারে ভর করে অর্থনীতি বৃদ্ধির মুখ দেখবে আগামী দিনে। যদিও এ দিনই উদ্বেগ বাড়িয়ে খোদ কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে প্রকাশ, অগস্টে রফতানি ১২.৬৬% ও আমদানি ২৬% কমেছে।

Advertisement

এডিবির মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইয়াসুয়ুকি সাওয়াদার মতে, অতিমারি ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের জের পড়েছে ভারতের অর্থনীতিতে। এখন সংক্রমণে রাশ টানা, পরীক্ষা বাড়ানো, চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়ায় জোর দিতে হবে সরকারকে। যত দ্রুত সেই কাজ হবে, তত দ্রুত তৈরি হবে ঘুরে দাঁড়ানোর জমি। তবে এডিবির আশঙ্কা, সরকারের কর আদায় কমায় এবং খরচ বাড়ায় চলতি বছরে মাত্রা ছাড়াবে রাজকোষ ঘাটতি। সংস্থাগুলি ঋণ শোধে ব্যর্থ হলে ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ চড়বে। ফলে আর্থিক ক্ষেত্রের বিপদ বাড়ছে। চাহিদা না-থাকলে লগ্নি করতে চাইবে না সংস্থাও। অথচ চাহিদায় এখনই গতি ফেরার সম্ভাবনা কম।

তবে কৃষি বিপণন ও শিল্প পার্কের পরিকাঠামো উন্নতির মতো কেন্দ্রের কিছু পদক্ষেপের প্রশংসাও করেছে এডিবি। তাদের মতে, এর মাধ্যমে ভারত উৎপাদনের হাব হয়ে উঠলে বিদেশি লগ্নি আসবে। জোর পাবে রফতানি। যদিও অনেকে বলছেন, দেশ-বিদেশে চাহিদার অভাবে যে ভাবে আমদানি-রফতানি ধাক্কা খাচ্ছে, তাতে সেই সুদিন কবে আসবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement