—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গেলের প্রকল্প আটকে বাবলা ‘কাঁটা’য়!
পানাগড় থেকে হুগলির রাজারামবাটি হয়ে নদিয়ার গয়েশপুর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেলের ১৩৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের কাজ চলছে। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের বাবলায় জমি জটের জন্য তা শেষ করা যাচ্ছে না। অথচ সেখানে এক কিলোমিটারেরও কম জায়গা পড়ছে প্রকল্প এলাকায়। তা মিললে মার্চেই গয়েশপুর পর্যন্ত গ্যাসের জোগান দিতে গেল তৈরি। আর জমি পেতে দেরি হলে উল্টে কাজ পিছিয়ে যেতে পারে। তাতে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতেও গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা পিছিয়ে যাবে।
জমি ব্যবহারের অনুমতি মেলায় সমস্যা এবং অতিমারির জেরে বছর তিনেক ধরে ক্রমাগত পিছিয়েছে গেলের উত্তরপ্রদেশে-হলদিয়া পাইপলাইন প্রকল্প। যা দু’টি শাখায় বিভক্ত। দুর্গাপুর থেকে রাজারামবাটি হয়ে গয়েশপুর এবং রাজারামবাটি থেকে হলদিয়া। দুর্গাপুর-গয়েশপুর শাখাটি গত বছরের জুনে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ফের বাধা হয় জমি জট। আপাতত পাইপলাইনটি পানাগড় পর্যন্ত চালু হয়েছে। গেল সূত্রের খবর, বর্ধমানের পণ্ডালিতেও জমি জট ছিল। রফাসূত্র মেলে ডিভিসির থেকে। জেলার বাকি অংশেও নানা জট কাটাতে জেলাপ্রশাসন উদ্যোগী হওয়ায় কাজ এগোনো গিয়েছে। সম্প্রতি অবশ্য বাবলার চাষিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, দ্রুত জমি জট কাটবে।
এই গ্যাস শিল্প, পরিবহণ ও রান্নার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। যা গেলের কাছ থেকে নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বণ্টনের করবে এইচপিসি, বেঙ্গল গ্যাস, আইওসি-আদানি–সহ বিভিন্ন সংস্থা। রান্নার জন্য ওই গ্যাস (পিএনজি) বণ্টন নিয়ে গৃহস্থদের সচেতন করতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশ জুড়ে কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্র। সম্প্রতি গয়েশপুরে তা করে এইচপিসি। কিন্তু সংশয় সেই বাবলা।
কলকাতা-সহ সংলগ্ন এলাকায় গ্যাস বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছে এইচপিসি এবং বেঙ্গল গ্যাস। তারা অবশ্য নিজেদের পাইপলাইন-সহ গ্যাস মজুতের কেন্দ্র নির্মাণের পথে এগোচ্ছে। গেলের থেকে গ্যাস সংগ্রহের জন্য প্রথম পর্যায়ে রাজারামবাটি ও গয়েশপুরে কেন্দ্রগুলি মার্চের মধ্যে তৈরি করবে তারা।