প্রতীকী ছবি।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি করোনার ধাক্কা সামলাতে তৈরি। ওমিক্রন সংক্রমণের প্রভাব থাকলেও আর্থিক কর্মকাণ্ড মাথা তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু যে সব ক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে সামনাসামনি কাজ করতে হয়, করোনার জেরে তাদের ফের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করে কেন্দ্র। এ দফায় করোনা যুঝতে ব্যাঙ্কিং শিল্প কতটা প্রস্তুত, তা বুঝতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কর্তাদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই এ কথা জানান তিনি।
বৃহস্পতিবারই মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা বলেছিল, ওমিক্রন যে ভাবে বাড়ছে, তাতে ব্যাঙ্কগুলির হিসাবের খাতা ফের চাপে পড়তে পারে। বিশেষত প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে সমস্ত ঋণ পুনর্গঠন হয়েছে, তাদের ফের সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা বেশি। যার জের পড়তে পারে ধার শোধের উপরে। আর সেই অবস্থা তৈরি হলে তা ব্যাঙ্কের মুনাফায় প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছিল তারা।
এ দিন বৈঠকে অবশ্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির দাবি, তাদের হাতে পুঁজিও রয়েছে যথেষ্ট। তা ছাড়া দেশে ইতিমধ্যে ঋণ শোধের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে এ বার আগামী দিনে ঝুঁকি যুঝতে তৈরি তারা।
অর্থনীতি সামলাতে ব্যাঙ্কের ভূমিকার প্রশংশা করেন অর্থমন্ত্রীও। নির্মলার কথায়, আগামী দিনে খুচরো ঋণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সামগ্রিক ভাবে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো এবং ঋণগ্রহীতার হাল ফেরার হাত ধরে উন্নতি হবে ঋণ দানে। তবে এর মধ্যেও যে সব ক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বজায় রাখতে হয়, তাদের বাড়তি সাহায্য লাগবে। নজর দিতে হবে খুচরো, কৃষি, এবং ছোট শিল্পের দিকেও।