প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি পিটিআই।
চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ এবং বেসরকারিকরণ থেকে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য ছোঁয়া যে কার্যত অসম্ভব, তা ইতিমধ্যেই আঁচ করেছে অর্থ মন্ত্রক। কারণ সেই পথে সাড়ে সাত মাসে এসেছে মাত্র ৯৩৩০ কোটি। আবার আয়ের ঘাটতি সামলাতে যদি সরকারি খরচ ছাঁটতে হয়, সেটাও করোনার আবহে সহজ নয়। এমন পরিস্থিতিতে একটি নয়, দু’টি নয়, প্রায় আধ ডজন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে এই অর্থবর্ষের মধ্যেই বিক্রি করার বার্তা দিলেন মোদী সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক। বুধবার তিনি জানালেন, বিপিসিএল, বিইএমএল, শিপিং কর্পোরেশন-সহ গোটা ছয়েক কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কিনতে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে দরপত্র চাওয়া হবে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই।
যদিও এটুকু সময়ের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণও কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের বক্তব্য, শুধু এয়ার ইন্ডিয়া বেচতেই সরকারের এত দিন লাগল। সেখানে এত দ্রুত এতগুলি সংস্থার দরপত্র প্রক্রিয়া মেটানো কী করে সম্ভব! কেন্দ্রীয় লগ্নি ও সরকারি সম্পত্তি পরিচালনা দফতরের সচিব তুহিন কান্ত পাণ্ডে অবশ্য বলেন, ‘‘১৯ বছর পরে এই বছরই আমরা দেখব ৫-৬টি বেসরকারিকরণ।’’ তাঁর দাবি, এয়ার ইন্ডিয়ার বিক্রির অভিজ্ঞতায় ভর করেই দ্রুত লক্ষ্য পূরণ হবে। তার পরেই বার্তা, ‘‘আমরা বেসরকারিকরণের আওতায় এমন এক পরিবেশে পা রাখছি, যেখানে বিষয়টি শুধু নীতি হিসাবে নেই, বাস্তবে কার্যকরও হচ্ছে।’’ পাণ্ডের আশা, জানুয়ারি-মার্চে প্রথম বার বাজারে আসবে এলআইসি-র শেয়ারও। সরকারের সেটাই লক্ষ্য।