নরেন্দ্র মোদী।
কমিটি তৈরি হয়েছিল জুনে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ফেরার পরে। প্রধানমন্ত্রীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিনিয়োগ ও বৃদ্ধি সংক্রান্ত সেই কমিটির প্রথম বৈঠক হল সোমবার। তৈরির প্রায় ছ’মাস পরে। বাজেট পেশের যখন প্রায় এক মাস বাকি।
বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না-গেলেও সূত্রের খবর, খরচ বাড়িয়ে অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরানোর বিষয়েই কথা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে অনেকে মনে করাচ্ছেন, গত সপ্তাহে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করে ৪.৬ শতাংশে নামিয়েছে
ফিচ। এর আগে মুডি’জ়, এডিবি, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, এমনকি রিজার্ভ ব্যাঙ্কও পূর্বাভাস ছেঁটেছে। বাস্তবেও গত ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি নেমেছে ৪.৫ শতাংশে। বেসরকারি লগ্নি, উৎপাদন, রফতানির অবস্থা ভাল নয়। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্র নানা পদক্ষেপ ঘোষণা করলেও, এখনও ফল ফলতে শুরু করেনি। অনেকের মতে, সাধারণ মানুষের হাতে নগদের জোগান নিশ্চিত করে বিক্রিবাটা বাড়াতে পারেনি মোদী সরকার। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিনিয়োগ ও বৃদ্ধি সংক্রান্ত কমিটির এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ।
২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই বৃদ্ধির গতি কমতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে জুনে দু’টি কমিটি তৈরি করে কেন্দ্র। বিনিয়োগ ও বৃদ্ধি সংক্রান্ত কমিটি ছাড়াও তৈরি হয় কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়ন কমিটি। অনেকের বক্তব্য, মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে পৃথক মন্ত্রিগোষ্ঠী ছিল। অর্থনীতির পাশাপাশি সম্প্রতি কয়েকটি নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পরে এখন সেই পথেই হাঁটতে চাইছে এনডিএ সরকার।