ইনফোসিসের চেয়ারম্যান নন্দন নিলেকানি।—ফাইল চিত্র।
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের আর্থিক হিসেব-নিকেশে অনিয়ম নিয়ে হুইসলব্লোয়ারের অভিযোগ সোমবার সামনে এসেছে। ফলে মঙ্গলবার যে এর বিরূপ প্রভাব সংস্থার শেয়ারের উপরে পড়তে পারে তা এক রকম প্রত্যাশিতই ছিল। বাস্তবে হলও তা-ই। এক দিনে তাদের শেয়ারের দর পড়ল ১৬.২১%। ২০১৩ সালের এপ্রিলের পরে এত বড় পতনের মুখোমুখি হয়নি ইনফোসিসের শেয়ার। সংস্থার লগ্নিকারীরা প্রায় ৫৩,০০০ কোটি টাকার পুঁজি হারিয়েছেন। এ দিন সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা চেয়ারম্যান নন্দন নিলেকানি স্টক এক্সচেঞ্জগুলিকে জানান, অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব অডিটরদের দেওয়া হয়েছে। তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১৭ সালেও সংস্থার পরিচালনা নিয়ে বিতর্ক মাথা তুলেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল তৎকালীন সিএফও রাজীব বনশলের মাত্রাতিরিক্ত বেতন নিয়ে। বিতর্কের জেরে সিইও বিশাল সিক্কাকে ইস্তফা দিতে হয়। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান নিলেকানি। এ দফায় লাভ বাড়িয়ে দেখাতে অনৈতিক ভাবে হিসেবে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সিইও সলিল পারেখ এবং সিএফও নীলাঞ্জন রায়ের বিরুদ্ধে।
এ দিন নিলেকানি জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক জন বোর্ড সদস্য নামহীন দু’টি চিঠি পান। তার একটিতে অভিযোগ করা হয়, ব্যবসার অঙ্ক এবং মুনাফাকে স্বল্প মেয়াদে বাড়িয়ে দেখানোর জন্য অনৈতিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্যটিতে বলা হয়েছে সিইওর বিদেশ সফরের খরচ সম্পর্কে। গত ১০ অক্টোবর দু’টি অভিযোগই অডিট কমিটির কাছে পেশ করা হয়। নন-এগ্জ়িকিউটিভ বোর্ড সদস্যদের কাছে তা পেশ করা হয় পরের দিনই। বিষয়টি নিয়ে অডিট কমিটি অভ্যন্তরীণ স্বাধীন অডিট সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। স্বাধীন তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি সংস্থাকে। তদন্তের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন নিলেকানি।