ফাইল চিত্র।
জ্বালানি হিসাবে রাজ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস জোগাতে পাইপলাইন বসাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত গেল। সেই প্রকল্পের কাজ দীর্ঘ দিন আগে শুরু হলেও, কোথাও কোথাও জমি জট ও নানা সমস্যায় মাঝে মধ্যে প্রকল্পের গতি ধাক্কা খাচ্ছে বলে খবর। মঙ্গলবার এ নিয়ে জেলাশাসক এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, যেখানে সমস্যা হচ্ছে সেখানে দ্রুত জট কাটাতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
গত বছর উত্তরপ্রদেশ থেকে গেল-এর একটি পাইপলাইন দুর্গাপুরে এসে পৌঁছয়। এর পর সেটি হুগলি, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা হয়ে হলদিয়া পৌঁছবে। ওড়িশার ধামড়া থেকেও একটি পাইপলাইন হলদিয়া যাবে। প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন অনলাইন বৈঠকে গেল-এর কর্তা জানান, বহু স্থানে যেমন কাজ ঠিক মতো এগোচ্ছে, তেমনই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, হুগলির মতো জেলার কিছু জায়গায় সমস্যার কারণে কাজ শুরুতে দেরি হচ্ছে। দ্বিবেদী তাঁদের জানান, যেখানে জমি ব্যবহারে সায় মিলেছে সেখানে দ্রুত কাজ শুরু করার কথা। অন্য জায়গায় বিষয়গুলি রাজ্য দেখবে।সেই সূত্রেই জেলাশাসকদের নবান্নের নির্দেশ, দ্রুত হস্তক্ষেপ করে জট কাটানোর চেষ্টা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সভায় গেল ও বিভিন্ন গ্যাস বণ্টন সংস্থার কর্তারা বলেন, সময়ে কাজ শেষ করতে দ্রুত ও সহজে জমি ব্যবহারে সায়, সরকারি-বেসরকারি স্তরে অন্যান্য ছাড়পত্র ও প্রশাসনিক খরচ হ্রাস জরুরি। প্রকল্প রূপায়ণে দেরি হলে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকবে। দুর্গাপুর-হলদিয়া ও ধামড়া-হলদিয়া, দুই পাইপলাইন ২০২৩ সালের মে-জুনে শেষ হওয়ার আশা। সেই গ্যাস শিল্প, পরিবহণ, গৃহস্থ ও হোটেল-রেস্তরাঁয় ব্যবহৃত হবে। এতে কমবে জ্বালানি খরচ ও দূষণ।