বন্ধন ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে চন্দ্রশেখর ঘোষ। —ফাইল চিত্র
অর্থনীতি তো বটেই, দেশের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রয়েছে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের। কিন্তু ঋণের ক্ষেত্রে ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলি ব্যাঙ্কের কাছে যতটা গুরুত্ব পায়, ক্ষুদ্র সংস্থাগুলি ততটা পায় না বলে অভিযোগ করলেন বন্ধন ব্যাঙ্কর এমডি-সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান চেম্বারের এক ভিডিয়ো বৈঠকে তাঁর বক্তব্য, শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও আরও বেশি ব্যবসা ছড়ানোর মানসিকতা দেখাতে হবে ব্যাঙ্কিং শিল্পকে।
এ দিনের আলোচনার মূল বিষয় ছিল ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প। যাদের ঋণ পাওয়ার সমস্যার কথা আগেও বহু বার উঠেছে। চন্দ্রশেখরবাবুর বক্তব্য, এই শিল্প দেশের অর্থনীতির প্রধান ভিত। যদিও ক্ষুদ্র সংস্থাগুলি ছোট ও মাঝারি সংস্থার মতো গুরুত্ব পায় না রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের কাছে। অথচ ওই সংস্থাগুলিকে বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে না-পারলে ভারতের ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির লক্ষ্যপূরণ হওয়া মুশকিল। তাঁর মতে, এই সংস্থাগুলির অধিকাংশ গ্রামীণ এলাকায় হলেও সেখানকার ব্যাঙ্কিং পরিকাঠামো এবং পরিষেবায় ঘাটতি রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘জেলাতেও বহু সংস্থা ব্যবসা করে। সেখানে আরও বেশি করে পৌঁছনোর মানসিকতা গড়তে হবে।’’
তবে কি আর্থিক পরিষেবা ছড়ানোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক ব্যর্থ? তা মানতে নারাজ বন্ধন-কর্তা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা (ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা হিসেবে) ২০ বছর ধরে প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করেছি। ভাবিনি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স পাব। সাফল্য দেখেই তা দেওয়া হয়েছে।’’