সম্প্রতি কালো টাকা প্রতিরোধ আইনের আওতায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কোম্পানি সেক্রেটারি, কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদেরও আনা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
আর্থিক প্রতারণা, তহবিল নয়ছয়, বিশেষত সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়ার জন্য বিদেশে কালো টাকার বেআইনি জোগান রুখতে আরও কড়া হওয়ার ইঙ্গিত দিল কেন্দ্র। সে জন্য সংশ্লিষ্ট কালো টাকা প্রতিরোধ আইনটি (মানি লন্ডারিং ল) সংশোধন করে আরও আঁটোসাঁটো করল তারা। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, এ বার থেকে সংস্থা তৈরিতে জড়িত সমস্ত ব্যক্তি অথবা যাঁরা সংস্থাটির প্রতিনিধিত্ব করছেন, তার ডিরেক্টর এবং অন্যান্য বড় কর্তারা এর আওতায় আসবেন।
সম্প্রতি কালো টাকা প্রতিরোধ আইনের আওতায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কোম্পানি সেক্রেটারি, কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদেরও আনা হয়েছে। ফলে এখন থেকে সংস্থার হয়ে যত আর্থিক লেনদেন করবেন তাঁরা, তার প্রতিটির রেকর্ড রাখতে হবে। সংশোধিত আইনে এটাও বলা হয়েছে, কেউ যদি কোনও সংস্থাকে দফতর তৈরির জায়গা বা তাঁর নিজের ঠিকানা ব্যবহার করতে দেন, অথবা সংস্থার ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করেন, তাঁরাও ওই আইনের মধ্যে পড়বেন। ফলে কোনও আর্থিক নয়ছয় বা কালো টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠলে প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধেও ওই আইনের নিরিখে পদক্ষেপ করতে পারবে সরকার।
বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, কালো টাকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গ হিসাবেই সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে নতুন ওই নিয়ম চালু করা হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক ভাবে মদত দেওয়ার বিষয়টি রোখার জন্য যে আন্তর্জাতিক দল কাজ করে, তার নাম ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। সংশ্লিষ্ট বিষয়টিতে ভারতের কী অবস্থা, তা খতিয়ে দেখবে এফএটিএফ। তার পরই তারা প্রয়োজনে অবস্থার উন্নতি করার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে সুপারিশ করবে। সূত্রের দাবি, এফএটিএফের মানের সঙ্গে সঙ্গতি রাখার বিষয়টি ভারতে নিশ্চিত করতেই আইন সংশোধন করছে কেন্দ্র। চলতি বছরের শেষের দিকে এ জন্য একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স চালু করতে চলেছে ভারত সরকারও, যাদের কাজ হবে কালোটাকার লেনদেনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রাখা।