—ফাইল চিত্র।
আধার নম্বরের নথিভুক্তি বা সেই সংক্রান্ত তথ্য সংশোধনের জন্য মেট্রো-সহ ৫৩টি শহরে আধার সেবা কেন্দ্র চালুর কথা গত বছর বলেছিলেন আধার কর্তৃপক্ষ (ইউআইডিএআই)। তার মধ্যে কলকাতায় চারটি কেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব ছিল। যার প্রথমটি সম্প্রতি চালু হয়েছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। ইউআইডিএআই সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি-সহ রাজ্যের আরও কয়েকটি জায়গায় এই কেন্দ্র চালুর ভাবনা রয়েছে।
আপাতত কথা রয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যে বিবাদী বাগে দ্বিতীয় আধার সেবা কেন্দ্রটি চালু করার। এ ছাড়াও কলকাতায় আরও দু’টি এমন কেন্দ্র চালু হবে। শিলিগুড়ির কেন্দ্রটিও এই অর্থবর্ষে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ইউআইডিএআইয়ের। পাশাপাশি, রাজ্যের আরও অন্তত দুই জেলায় এই কেন্দ্র চালু করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংস্থা সূত্রের দাবি, ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরে আধার কেন্দ্র চালু হলেও, মূলত শহরাঞ্চলে তা অপ্রতুল। সেখানে সাধারণত একটি-দু’টি কাউন্টার থাকায় দিনে কয়েক’শর বেশি মানুষ সেই পরিষেবার সুবিধা পান না। আধার সেবা কেন্দ্রে তুলনায় অনেক বড়। বেশি কাউন্টার থাকায় অনেক বেশি মানুষ পরিষেবা পাবেন। মিলবে সরাসরি ই-আধার পাওয়ার মতো বাড়তি কিছু সুবিধা।
এক ঝলকে • ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরের কেন্দ্রগুলির চেয়ে আধার সেবা কেন্দ্রের পরিকাঠামো বড়। • প্রতিটিতে কমপক্ষে ১০টি কাউন্টার। • রোজ প্রায় এক হাজার মানুষ পরিষেবা পাবেন। • বায়োমেট্রিক তথ্যের মাধ্যমে মিলবে ই-আধার। • আধার তৈরি না হলে তার কারণও জানা যাবে। • অনলাইনে আগাম অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার সুবিধা। • সাত দিনই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খোলা।
এখন পশ্চিমবঙ্গে ব্যাঙ্ক ও ডাকঘর মিলিয়ে প্রায় ১৮০০টি আধার কেন্দ্র চালু রয়েছে। এ ছাড়া, বিএসএনএলের ২৭টি গ্রাহক সেবা কেন্দ্রেও আধারের পরিষেবা মেলে।