অতিমারির আগে মোদী সরকারের মন্ত্রীরা বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়ায় বিতর্ক দানা বাঁধে। প্রতীকী ছবি।
বিশ্বে ভারতীয় গাড়ি বাজার চতুর্থ বৃহত্তম হলেও, এ দেশের মাত্র এক শতাংশের মতো গাড়ি বৈদ্যুতিক। ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধেছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সুবিধা, দেশেই ব্যাটারি তৈরি, জিএসটি হ্রাসের মতো একগুচ্ছ পদক্ষেপের সুপারিশ করল উপদেষ্টা সংস্থা মুডি’জ় ইনভেস্টর্স সার্ভিসেস।
অতিমারির আগে মোদী সরকারের মন্ত্রীরা বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়ায় বিতর্ক দানা বাঁধে। এই গাড়ির উপযুক্ত ও সহায়ক পরিবেশ কার্যত প্রাথমিক স্তরে থাকায় তাঁদের সওয়াল নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সহায়ক পরিবেশের অভাবে ক্রেতারাও এই গাড়ি কেনার আগে কিছুটা ভাবেন। পরে অবশ্য ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হতে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সওয়াল করলেও জোর করে কিছু না চাপানোরই ইঙ্গিত দেন তিনি। বস্তুত, এখনও চার্জিং স্টেশন থেকে দেশে ব্যাটারি তৈরি, সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতির খুব উন্নতি হয়নি। তবে কাজ কিছুটা এগিয়েছে।
এই অবস্থায় মুডি’জ় বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম গাড়ি বাজারে বৈদ্যুতিকের অংশীদারি মাত্র এক শতাংশ থাকার কথা উল্লেখ করেছে। সেই গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধি ও ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়টি দেশের চার্জিং পরিকাঠামো, ক্রেতারা এমন গাড়ি কিনতে কতটা তৈরি, সে সবের উপরেও নির্ভর করবে বলে তারা মনে। মুডি’জ় বলেছে, ‘‘আশা করছি, কেন্দ্রের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা বৈদ্যুতিকের অংশীদারি বাড়াবে। যেমন ক্রেতাদের জন্য সুবিধা, দেশেই ব্যাটারি সংক্রান্ত আধুনিক প্রযুক্তি উন্নয়নে উৎপাদন ভিত্তিক আর্থিক সাহায্য, জিএসটি হ্রাস এবং রাজ্যস্তরেও ভর্তুকি ইত্যাদি তার মধ্যে রয়েছে।’’ ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে টাটা মোটরসের অগ্রগতির কথাও উল্লেখ করেছে তারা।
প্রসঙ্গত, গত বছরে বিশ্বে ৮০ লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছিল। যার মধ্যে ৬৫% ছিল চিনে। ২০ শতাংশ অংশীদারি ছিল ইউরোপের। সেই সব অঞ্চলে সরকারি সহায়তারই সুফল পেয়েছিল বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থাগুলি।