—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নজিরবিহীন শিখর থেকে ভারতের বাজারকে টেনে নামাচ্ছে পশ্চিম এশিয়ায় ফের বাড়তে থাকা অশান্তি। গত শুক্রবার সেনসেক্স একলপ্তে ৭৯৩.২৫ পয়েন্ট নেমে ৭৪,২৪৪.৯০ অঙ্কে দিন শেষ করেছিল। সোমবার পড়ল আরও ৮৪৫.১২। থামল ৭৩ হাজারের ঘরে ফিরে এসে, ৭৩,৩৯৯.৭৮ অঙ্কে। লেনদেনের এক সময় প্রায় ৯৩০ পয়েন্ট নেমে গিয়েছিল সূচক। ফলে বাজার থেকে মুছে গিয়েছে লগ্নিকারীদের ৫.১৮ লক্ষ কোটি টাকা। নিফ্টি-ও এ দিন ২৪৬.৯০ পড়ে হয়েছে ২২,২৭২.৫০। এই নিয়ে দু’টি লেনদেনে তার মোট পতন দাঁড়াল প্রায় ৪৮১।
বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর দাবি, ‘‘একে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামেনি। তার উপরে ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘর্ষে পশ্চিম এশিয়া বহু দিন ধরেই উত্তপ্ত। এ বার ইজ়রায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। ফলে বিশ্ব জুড়ে শেয়ার বাজার দুর্বল হয়েছে এ দিন। ভারতও পতন এড়াতে পারেনি। যত দিন না ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা কমবে, তত দিন বাজার থাকবে অনিশ্চিত এবং অস্থির।’’ যদিও আতঙ্কিত হয়ে তড়িঘড়ি হাতের শেয়ার বিক্রি করতে বারণ করেছেন তিনি। সাধারণ লগ্নিকারীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, এই সময় বাজারে শেয়ারমূল্যের নিরিখে ছোট-মাঝারি সংস্থার শেয়ারে পুঁজি না ঢালাই ভাল। বরং বড় সংস্থার ভাল শেয়ার বেছে দীর্ঘকালীন লগ্নি করা যেতে পারে।
আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, বলেছেন আর এক বিশেষজ্ঞ কমল পারেখও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘উঁচু বাজারে এই সংশোধন হওয়ারই ছিল। লগ্নিকারীদের উপকার হবে এতে। নিফ্টির আরও ১০০০ এবং সেনসেক্সের আরও ৩০০০ মতো নামা উচিত। সাধারণ লগ্নিকারীরা আপাতত বিনিয়োগের পথে না এগিয়ে কিছু দিন পরিস্থিতির উপর নজর রাখুন।’’