মলয় ঘটক। —ফাইল চিত্র।
চটকলগুলির সমস্যা নিয়ে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ এবং জুট কমিশনারের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করলেন। হাজির ছিলেন অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় পিএফ কমিশনার রাজীব ভট্টাচার্যও। কথা হয় চটের বস্তার বরাত কমায় চটকলগুলির সমস্যা পড়া নিয়ে। মিল মালিকদের অভিযোগ, বরাত কমায় পূর্ণ সময় কাজ হচ্ছে না। কমেছে কাজের দিন এবং শিফ্ট। ফলে বহু শ্রমিক কাজ পাচ্ছেন না। বস্তার উৎপাদন কমলে কাঁচা পাটের চাহিদাও কমবে। সমস্যায় পড়বেন প্রায় ৪০ লক্ষ পাট চাষি। আইজেএমএ-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সঞ্জয় কাজারিয়া জানান, “গত তিন বছর ধরে কমছে বস্তার বরাত। ৩৯ লক্ষ বেল (১ বেল=৫০০ বস্তা) থেকে গত বছর তা নেমেছে ৩০ লক্ষ বেলে। আরও কমার আশঙ্কা।’’
মলয়বাবু বলেন, বাংলাদেশ-সহ ৮০টি দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ। অথচ ভারতে চটের বদলে প্লাস্টিক বস্তার ব্যবহার বাড়ছে। তাঁর অভিযোগ, আইন মোতাবেক কেন্দ্র চিনি ভরতে মোট যে বস্তা ব্যবহার করে, তার ২০% হতে হয় চটের। কিন্তু গত বছর ২% চটবস্তা ছিল। তিনি জুট কমিশনারের কাছে বিষয়টি দেখে নেওয়ার আর্জি জানান।
গত জানুয়ারিতে চট শিল্পে বেতন সংশোধন নিয়ে ইউনিয়ন এবং আইজেএমএ-র মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তা অনেক চটকল মালিকই মানছেন না বলেও অভিযোগ। যাঁরা মানছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত এ দিন জুট কমিশনারকে চিঠি দেন। চুক্তির অন্যতম শর্ত, যে মালিকেরা তা মানবেন না, তাঁদের চটকল বস্তার বরাত পাবে না।