ফাইল চিত্র।
আগামী পাঁচ বছরে দেশে তেল শোধন ক্ষমতা দ্বিগুণ করা এবং এক দশকে দেশের জ্বালানি চাহিদার বাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের অংশীদারি চার গুণ বাড়ানোর (বর্তমানে যা প্রায় ৬%) পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁর দাবি, সরকার ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। সেই সঙ্গে দূষণ কমাতে আজ অপ্রচলিত শক্তিতেও জোর দিয়েছেন তিনি।
গত জুনে তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের দাবি ছিল, আগামী ১০ বছরে দেশের তেল শোধন ক্ষমতা ২৫ কোটি টন থেকে বেড়ে পৌঁছবে ৪৫-৫০ কোটিতে। মোদীর যদিও মত, তার অনেক আগেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছবে ভারত। আর সেই সুযোগে গবেষণা ও উন্নয়ন-সহ দেশের তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে আগামী কয়েক বছরে যে বিপুল লগ্নি আসবে, তার হাত ধরে তরুণ প্রজন্মের কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
পাশাপাশি আজ প্রধানমন্ত্রী দেশে কার্বন নির্গমণ ৩০%-৩৫% কমানোর কথাও বলেছেন। আর সে জন্য জোর দিয়েছেন সৌর বিদ্যুতে। মোদীর দাবি, ইতিমধ্যেই সৌর বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের নাম ১২-১৩ টাকা থেকে ২ টাকায় নেমেছে। দেশে ১৭৫ গিগাওয়াট অপ্রচলিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ২০২২ সালের আগেই পূরণ হবে বলে আশা। ২০৩০ সালের আগে ৪৫০ গিগাওয়াটেও পৌঁছনো যাবে।
অনুষ্ঠানে দেশের অর্থনীতি আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের কর্ণধার মুকেশ অম্বানী। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অতীতেও বহু প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে দেশ। ...করোনা পরবর্তী জীবনেও ভারতের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির মুখ দেখবে বলে আশা।’’ আর আগামী দিনে সেই আর্থিক দিক দিয়ে উন্নত ও পরিবেশবান্ধব দেশ হয়ে ওঠার লক্ষ্য পূরণের জন্য অপ্রচলিত শক্তির উপরে জোর দিয়েছেন তিনিও। বলেছেন, এমন প্রযুক্তি আনতে হবে যা কার্বন নির্গমন কমায়। জোর দিতে হবে হাইড্রোজেন চালিত প্রযুক্তি এবং জ্বালানি মজুতে।