বৃদ্ধির প্রশ্ন এড়িয়েই সংস্কার নিয়ে বড়াই মোদীর

আজ দিল্লিতে এক সম্মেলনে মোদীর ঘোষণা, বেসরকারি লগ্নি বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশে বিশ্বমানের পরিকাঠামো গড়তে শীঘ্রই ১০০ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প শুরু করবে কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৬
Share:

নরেন্দ্র মোদী।

দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি ৫ শতাংশেরও নীচে নামা নিয়ে মন্তব্য করলেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করলেন, অর্থনীতির গতি বাড়াতে তাঁর সরকার চারটি পদক্ষেপ করেছে— করের বোঝা কমানো, ব্যবসার পরিবেশ সহজ করা, শ্রম আইন সংস্কার ও বিলগ্নিকরণের পথে হাঁটা। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘‘বৃদ্ধির গতি বাড়াতে সাধারণত এই চারটি বিষয়ই বিবেচিত হয়।’’

Advertisement

আজ দিল্লিতে এক সম্মেলনে মোদীর ঘোষণা, বেসরকারি লগ্নি বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশে বিশ্বমানের পরিকাঠামো গড়তে শীঘ্রই ১০০ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প শুরু করবে কেন্দ্র। একই সঙ্গে শিল্প ও ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রকে তাঁর আশ্বাস, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ককর্তা খাঁটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিলে ভয়ের কারণ নেই। অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সিদ্ধান্ত যাচাই করানো হবে। শীঘ্রই এই ব্যবস্থা চালু হবে। ঋণ দিতে ভয় পাওয়া নিয়ে মোদী আগেও ব্যাঙ্ককর্তাদের আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। আজ বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক অফিসার নিজেকে অসহায় মনে করলে সরকার তাঁকে একা ছাড়তে পারে না। আমি এমন লোক যে, নিজে দায়িত্ব নিই। দায়িত্ব থেকে পালাই না।’’

আয় নিয়ে মানুষের অনিশ্চয়তার জেরে বাজারে চাহিদা না-থাকাকেই অর্থনীতির ঝিমুনির জন্য দায়ী করেছেন অর্থনীতিবিদেরা। আবার বিক্রি নেই
বলেই শিল্প নতুন লগ্নি করছে না। আজ শিল্পপতি হর্ষ গোয়েন্‌কার টুইট— কেন্দ্র কাশ্মীর থেকে অযোধ্যা, সন্ত্রাসবাদ থেকে কালো টাকার বিরুদ্ধে
যুদ্ধে অনেক কিছু করেছে। কাজ করেছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার ও শেয়ার বাজার চাঙ্গা করার লক্ষ্যেও। কিন্তু চাহিদা, কারখানায় উৎপাদন, চাকরির প্রশ্নে জিজ্ঞাসা চিহ্নই দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও এক নিবন্ধে যুক্তি দিয়েছেন, কর ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে থিতু করতে হবে। শিল্পের সঙ্গে প্রস্তাবিত বদল নিয়ে কথা বলতে হবে। যাতে তারা মানানোর সময় পায়। তাঁর মতে, বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য শুধু রাজকোষ ঘাটতি মেটানো হতে পারে না।

মোদী অবশ্য এ সব প্রশ্নে না-গিয়ে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির উন্নয়নে কী করছেন, তা তুলে ধরেন। শিল্পের কর-হেনস্থার অভিযোগে তাঁর জবাব, ই-অ্যাসেসমেন্ট চালু হয়েছে। সাফল্য হিসেবে আমলাতন্ত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করতে প্রায় ২২০ জন আধিকারিককে আগাম অবসরের কথাও বলেন তিনি। অনেকের প্রশ্ন, বৃদ্ধিতে গতি এক দিন না এক দিন ফিরবে। তত দিন কি এ ভাবেই কাজের ফিরিস্তি দেবে সরকার?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement