নজরে লোকসভা ভোট, বরাদ্দ বাড়ল ১০০ দিনে

আজ সংসদে বাজেটের বাইরে অতিরিক্ত দ্বিতীয় দফার ব্যয় বরাদ্দ প্রস্তাব পেশ করেছেন অরুণ জেটলি। অর্থমন্ত্রী মোট ৬৬,১১৩ কোটি টাকার অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দ করছেন, যার মধ্যে ৪,৮০০ কোটি একশো দিনের কাজের প্রকল্পে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:২৪
Share:

ফেব্রুয়ারিতে জনমোহিনী বাজেটের সম্ভাবনা উসকে দিয়ে একশো দিনের কাজে আরও বরাদ্দ বাড়াল মোদী সরকার।

Advertisement

আজ সংসদে বাজেটের বাইরে অতিরিক্ত দ্বিতীয় দফার ব্যয় বরাদ্দ প্রস্তাব পেশ করেছেন অরুণ জেটলি। অর্থমন্ত্রী মোট ৬৬,১১৩ কোটি টাকার অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দ করছেন, যার মধ্যে ৪,৮০০ কোটি একশো দিনের কাজের প্রকল্পে। গরিবদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে নতুন সাজে চালু হওয়া ‘প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলি হর ঘর যোজনা’-র জন্যও প্রায় ১,০৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

২০১৮ সালেই পেশ হবে আগামী লোকসভা ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আজ গুজরাতের ভোটের ফল বলছে, নোট বাতিল ও জিএসটি নিয়ে ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও বস্ত্র ও হিরে ব্যবসার কেন্দ্র সুরাতে বিজেপি সব আসনে জিতেছে। কিন্তু গ্রামে ধাক্কা খেয়েছে তারা। ফলে গ্রাম-গরিবের মন জিততে মোদী সরকার যে বাড়তি সক্রিয় হবে, তাতে সন্দেহ নেই।

Advertisement

সমালোচকরা অবশ্য একশো দিনের কাজে বাড়তি ৪,৮০০ কোটিকে গরিবের উপকারের চেষ্টা হিসেবে মানতে রাজি নন। বিরোধীদের যুক্তি, এমনিতেই আগের অর্থবর্ষের একশো দিনের কাজের মজুরি বাবদ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া ছিল। নোট
বাতিলের ধাক্কায় শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে
গ্রামে ফেরায় বেড়েছে সেখানে একশো দিনের কাজের চাহিদা। তার ফলেই বাড়তি অর্থ ঢালতে হচ্ছে সরকারকে।

এমনিতেই রাজকোষ ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে যখন সংশয়, তখন বাড়তি ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রের অবশ্য যুক্তি, বাড়তি খরচের প্রায় অর্ধেকটাই আসবে বিভিন্ন মন্ত্রক ও দফতরের সঞ্চয় থেকে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পুঁজি জোগাতে অবশ্য এই দফায়
অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে না। বদলে চাষি ও গ্রামে ব্যবসায়ীদের জন্য বাড়তি ঋণের বন্দোবস্ত করতে আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কে ২১২ কোটি ঢালছেন জেটলি। তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানার ঋণ, সুদ মকুব ও সার পরিবহণে ভর্তুকির জন্যও বরাদ্দ প্রায় ২০,৫০০ কোটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement